হরিশ্চন্দ্রপুর;২৫অক্টোবর: আমবাগানে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল ১১ বছরের বালিকা। একা পেয়ে বালিকার মুখ চেপে ধরে নির্জনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে প্রতিবেশী কিশোর বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা চাউর হতেই কিশোরকে গাছের গুঁড়ির সঙ্গে বেঁধে শুরু হয় গণপিটুনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে কিশোরকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। সোমবার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় একটি গ্রামের ঘটনা। পরে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে পুলিশ কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কিশোরের প্রাথমিক চিকিত্সা করানো হয়। যদিও বিকেল পর্যন্ত কোনও পক্ষই অভিযোগ জানায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিকা স্থানীয় স্কুলে ষষ্ঠ্য শ্রেণিতে পড়ে। এদিন দুপুরে সে শৌচকর্ম করতে আমবাগানে গিয়েছিল। আমবাগানের পশে পুকুর পাড়ে একা পেয়ে ওই কিশোর তাকে টানাহেঁচড়া শুরু করে বলে অভিযোগ। হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে। কোনও রকমে কিশোরের হাত ছেড়ে পালিয়ে এসে বালিকা চিত্কার শুরু করলে ছুটে যান বাসিন্দারা। তারা কিশোরকে ধরে একটি গাছের গুঁড়ির সঙ্গে বেঁধে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কিশোরকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পুলিশ কিশোরকে থানায় নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিবে, ফলে তারাই তার বিচার করবে বলে দাবি জানাতে থাকেন। যদিও পুলিশ বাসিন্দাদের বুঝিয়ে কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বালিকার মা এদিন বলেন, অসদুদ্দেশ্যেই মেয়েকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ছেলেটি। মেয়ে পালিয়ে না আসলে ওর সর্বনাশ হয়ে যেত। আমরা ওর কঠোর সাজা চাই।