খোদ বালুরঘাট শহরের বুকেই এবারে ফেনসিডিল তৈরির রমরমা কারবার! পুলিশের হাতে এল একাধিক সরঞ্জাম সহ দুহাজার বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাফ, কিন্তু কিভাবে চলছিল তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৭ নভেম্বর— খোদ বালুরঘাট শহরেই মিলল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল তৈরি কারবারের হদিস। শনিবার সাত সকালে বালুরঘাটের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গি বিশ্বাস পাড়া এলাকায় একটি বাড়ি থেকে প্রায় ২ হাজার বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাফ উদ্ধার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ফেন্সিডিল তৈরির একাধিক সরঞ্জামও। যে ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। যদিও এই চক্রের মূল পান্ডা কে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি বালুরঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম প্রশান্ত হালদার। শহরের খাদিমপুর বটতলা এলাকার বাসিন্দা সে।
জানাগেছে, এদিন সকালে একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিএসপি সোমনাথ ঝার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী সাদা পোশাকে শহরের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় হানা দেয়। তারপরেই শুরু হয় ধরপাকড়। যেখান থেকেই উদ্ধার হয় প্রায় দুহাজার বোতল কাফ সিরাফ সহ তৈরির একাধিক সরঞ্জাম। যা থেকেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ তৈরির পর সেখানে মজুত রেখেই চলছিল দেদার কারবার। তবে একটি পাড়ার মধ্যে সাধারণ বাড়িতে থেকে কিভাবে এই ফেনসিডিল তৈরির কাজ চলছিল তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যেখান থেকেই ফেনসিডিলের বোতলসহ কাফ সিরাপ ও তা তৈরীর সরঞ্জাম এমনকি সিল করার সরঞ্জামও মিলেছে সেই ঘর থেকে। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে একজনকে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে শহরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এমন নিষিদ্ধ কাফ সিরাফ তৈরি ও তা বিক্রির কারবার চলছিল তা নিয়ে জোর তদন্ত শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
যদিও বাড়ির মালিক অর্চনা সরকার জানিয়েছেন, ঘটনা জানার পর একাধিকবার নিষেধ করেছেন ওই ভাড়াটিয়াকে। কিন্তু কোন কথাই তিনি শুনেননি।
জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, একজনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।