হরিশ্চন্দ্রপুর;৩০ডিসেম্বর: শীতের রাতে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার হরদম নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীরের পাশেই বসছে রাতভর চটুল নৃত্যের আসর। আসরে অর্ধ-উলঙ্গ ললনারা দর্শকদের মনোরঞ্জন প্রদান করছে। আসরের অবাধ প্রবেশ করছে এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধ। আবার আসরের পাশেই চলছে জুয়ার আসর। গ্রামের ভেতর ঠিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই এই ধরনের অশ্লীল নৃত্যের আসরের আয়োজন হওয়াতে এলাকার বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ রাতের এই চটুল নাচ এলাকারই শাসক দলের নেতাদের একাংশের মদদেই হচ্ছে। তাই প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা। তবে এলাকার অনেক বাসিন্দাই এই জিনিসটিকে ভাল চোখে নিচ্ছেন না। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তারা প্রতিবাদ করেছেন। অবিলম্বে এই নাচের আসর বন্ধ না হলে বড়োসড়ো আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ এই নাচ কে কেন্দ্র করে এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। তাই রাত নামলেই ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার হরদম নগরের বাসিন্দারা। এদিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে রাত্রে বেলা এই ধরনের আসর বসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তাদের দাবি রাত্রে বেলা এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ থাকে তাই সে সময় কেউ থাকে না। এই সুযোগ নিয়ে এ ধরনের কার্যকলাপ চলছে বলে দাবি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীদের। বিষয়টি তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ প্রশাসনের নজরে আনবেন বলেও জানিয়েছে
এদিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র লাগোয়া চত্বরে এই ধরনের চটুল নৃত্যের আসরের ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। তার সঙ্গে সঙ্গে এসেছে জুয়া খেলারও ভিডিও। সকাল হতেই দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র লাগোয়া চত্বরে পাশের মাঠে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙা মদের বোতল, তাস থেকে অশালীন সামগ্রী ও। স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এদিকে শাসক দলের নেতাদের প্রশ্রয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশেই অশালীন হিন্দি গানের নাচের আসর ও জুয়ার আড্ডা বসায় এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের সমর্থনে বিভিন্ন এলাকায় নোংরা সংস্কৃতির আমদানি হচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এলাকায় অপরাধ এমনটাই দাবি করেছে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়ার শাসক দলের নেতাদের মদদেই এলাকায় এই ধরনের নোংরা নাচ-গানের আসর বাড়ছে। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। গোটা রাজ্য কে এরা শেষ করে দিয়েছে। প্রশাসনের উচিত এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।
অন্যদিকে যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হজরত আলী জানান বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই এলাকায় একটি চটুল নাচ গানের আসর বসেছে ঠিকই। তবে এই ধরনের নোংরা কালচার কে তৃণমূল সমর্থন করে না। মিথ্যা বদনাম রটানোর জন্য বিজেপি এসব অভিযোগ তুলছে। তবে আমরাও এই সমস্ত অশ্লীল নাচের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুরো ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।