দুস্থ বাবা-মায়ের কাতর আর্তি ছেলের চিকিৎসার জন্য কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা সাহায্য সহযোগিতার

0
195

একদিকে মুক ও বধির আবার শারীরিক প্রতিবন্ধী, একা হাঁটাচলা করতেও পারেনা। এতগুলো প্রতিকূলতাকে জয় করে এবার মাধ্যমিকে সফল হল রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা মোহনবাটি হাইস্কুলের ছাত্র অভিষেক চ্যাটার্জি। দুস্থ বাবা-মায়ের কাতর আর্তি ছেলের চিকিৎসার জন্য কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে অভিষেক এক সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ জীবনে ফিরে আসতে পারে।

জন্ম থেকে কানেও শুনতে পায়না আর কথাও বলতে পারেনা রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা উজ্জ্বল চ্যাটার্জি এবং পিয়ালী চ্যাটার্জির সন্তান অভিষেক চ্যাটার্জি। এর উপর আবার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে অভিষেকের। একা একা হাঁটাচলা করতে পারেনা। বাবা উজ্জ্বল চ্যাটার্জি ধুপকাঠি ও ফিনাইল সহ অন্যান্য সামগ্রীর সামান্য ব্যাবসায়ী। সংসার প্রতিপালন করাই তাঁর কাছে দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে, ছেলের চিকিৎসা করার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই তাঁদের। এমতাবস্থায় ছেলে অভিষেক নিজের চেষ্টায় এবং মোহনবাটি হাইস্কুলের শিক্ষকদের ঐকান্তিক সহায়তায় এবছর মাধ্যমিক পাশ করেছে। কঠিন প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে ছেলে পড়াশুনা করে মাধ্যমিক পাশ করায় বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছেলেকে আরও পড়ানোর। কিন্তু ছেলে তো শারীরিক ভাবে অক্ষম। প্রয়োজন অত্যাধুনিক শ্রবনযন্ত্রের, যার দাম প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। তাহলেই ছেলে কানে শুনতে পাবে এবং কথাও বলতে পারবে। কিন্তু নুন আনতে পান্থা ফুরানোর অবিস্থায় এত টাকা তাঁরা কোথায় পাবেন! তাই অভিষেকের বাবামায়ের কাতর আবেদন যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের আর্থিক সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে তাঁরা তাঁদের ছেলেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here