শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 19 জুন দক্ষিণ দিনাজপুর:-জন্ম-মৃত্যু সঞ্চয় পত্র পেতে চরম হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক পৌরসভার কর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভাতে।অভিযোগ উঠেছে, এই বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মী ব্রজেন পাল তার খেয়ালখুশিমতো কাজ করেন।নিয়মের তোয়াক্কা কোনমতে কিছু করেন না।শহরের বহু বাসিন্দা সার্টিফিকেট হবার পরেও তিনি তা আটকে রয়েছে অভিযোগ করেন তারা। শহরবাসীর অভিযোগ, অফিসারঃ তার নিজস্ব ব্যক্তিগত সম্পত্তি দিচ্ছেন মনে করেন। বেছে বেছে তিনি তার মন পছন্দ লোকজনকে সার্টিফিকেট অনায়াসে দেন বলে অভিযোগ।পৌরসভার কর্মীরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করলেন। মুখে কুলুপ এঁটেছেন ব্রজেন পাল নামে ওই পুরসভার কর্মী। পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বিষয়টি খোঁজ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
2015 সালে বামফ্রন্টকে সরিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস গঙ্গারামপুর পৌরসভা দখল করে।বাম আমলে চাকরি পাওয়া গঙ্গারামপুর পৌরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্রজেন পাল পৌরসভার জন্ম মৃত্যু সার্টিফিকেট দেওয়ার বিভাগে কাজ করেন। অভিযোগ উঠেছে ব্রজেন পালের বিরুদ্ধে,পৌরসভায় জন্ম মৃত্যু সার্টিফিকেট এলাকার বাসিন্দারা নিতে গেলেই তাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন প্রতিনিয়ত। এমনকি বাবার মৃত্যুর সার্টিফিকেট তার ছেলে বা মেয়ে গেল দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ।একমাত্র সেই সার্টিফিকেট নাকি নিচে স্ত্রী পেতে পারে বলে তিনি নিজেই নিয়ম তৈরি করেন।ওই অফিসের কর্মী পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট বিভাগটিকে নিজস্ব পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে কাজ করে থাকেন।চোখে কম দেখতে পাওয়া পৌরসভার কর্মী ব্রজেন পাল কয়েক বছর ধরে বহু জন্ম মৃত্যু সার্টিফিকেট আটকে রেখেছেন বলে তার বিরুদ্ধে বহু জায়গায় অভিযোগ করেছেন শহরবাসী।শহর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,তাকে কিছু বলতে গেলেই তিনি ওই সমস্ত পৌরবাসীর সঙ্গে জঘন্য ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এমনকি খোদ পৌরসভার বেশ কিছু কর্মীর সার্টিফিকেট সে আটকে রেখেছে।
ব্রজেন পাল নামে পৌরসভার কর্মীর বিরুদ্ধে শহর এলাকার বাসিন্দা রাজেশ চক্রবর্ত্তী,সহ তিন বাসিন্দারা অভিযোগ, ওনার কাছে গেলেই নিজেই সমস্ত আইন তৈরি করেন। দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। সার্টিফিকেট তো দেন না বছরের-পর-বছর বিনা কারণে ঘোরাতে থাকেন। তাই আমরা বিভিন্ন জায়গায় দ্বারস্থ হয়েছি তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে।
কেন করেন তিনি এমন ব্যবহার শহরবাসীর সঙ্গে, তার সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া হয়েছিল এদিন। সাংবাদিককে দেখেই তিনি মুখে কুলুপদেন। আর বলেন যা পারেন কইরালন।আমি ব্রজেন।
জন্ম মৃত্যু সার্টিফিকেট বাপার বিষয়ে যিনি সব কিছু জানেন সে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দেখে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন,কোন অভিভাবকের সার্টিফিকেট তার ছেলে বা মেয়ে থেকে শুরু করে নিকটাত্মীয়রা পেতেই পারেন সেই নিয়ম রয়েছে। কেন ওই কর্মী এমনটা করছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দের কথাতেই পরিষ্কার যে, মৃত্যু বা জন্মগত সার্টিফিকেট তার নিকটাত্মীয়রা পেতে পারেন। তাহলে ব্রজেন পাল নামে ওই কর্মী কিভাবে এমন নিয়ম তৈরি করেন তা নিয়ে শহরবাসী একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন।
পৌরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনলাম সমস্যা যেন সমাধান নয় তা দেখা হবে।
যদিও শহরবাসীর প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলার পরেও কেন ওই কর্মী ব্রজেন পালকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।