বরজের মধ্যেই নষ্ট হচ্ছে পান, বাজারে দাম না পেয়ে গঙ্গারামপুরে ঠেঙ্গাপাড়া এলাকার চাষিরা রাস্তায় পান ফেলে দিয়ে আন্দোলন শুরু করলো, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি তাদের- খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রশাসনের

0
135

শীতল চক্রবর্তী,গঙ্গারামপুর,19  জুন,দক্ষিণ দিনাজপুর:-বাজারে  পানের  দাম না পেয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আন্দোলন শুরু করলো এলাকার  বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার ঠেঙ্গাপাড়া বাজারে।পান ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পান তৈরির বরজেই পচে যাচ্ছে পান,তারমধ্যে বাজারে দাম নেই। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় ফেলে দিতে হচ্ছে পান গুলিকে।খাজনার থেকে বাজনার খরচ হচ্ছে  বেশি। প্রশাসন পাশে না দাঁড়ালে উপায় নেই আমাদের।প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

গঙ্গারামপুর ব্লক উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে খবর, গঙ্গারামপুর পৌরসভার 17নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ মানুষজন পান চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সেইসঙ্গে গঙ্গারামপুর ব্লকের দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ,কালদিঘি,আশ্বিনপাড়া, পুরানপাড়া, 3-2 বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠেঙ্গাপাড়া, উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ী, নারই, গোচিহার সহ আশপাশের বেশকিছু মানুষজন পান চাষ করে থাকেন সেই ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা চাষিরা।

পান চাষিদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে যে, ফাল্গুন মাসের শুরুতেই তারা এই পান গাছের ডাল নতুন পান  তৈরি করার জন্য বরজ এর মধ্যেই তা লাগিয়ে থাকেন। বাস কাঠ খড় দিয়ে বরজ তৈরি করতে হয়। পান বরজ এর ভিতর দিতে হয় প্রয়োজনে কীটনাশক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের  জিনিসও। সেইসঙ্গে প্রতিবছরই বরজ পরিবর্তন করতে হয় ভালো চাষ পাবার জন্য।বাংলা পাতা এই পান এক শতক জায়গাতে তৈরি করতে খরচ হয় 5/7 হাজার টাকা খরচ হয় বলে সেই চাষের সঙ্গে যুক্ত চাষিরা জানিয়েছেন।

পান চাষীদের কাছ থেকে আরো জানা গিয়েছে যে, 40 বিরাতে  পিসি পানের হিসেবে ধরা হয়। বাংলা পান বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না বলে তারা জানিয়েছেন। প্রচন্ড পরিমাণে গরম ও যেভাবে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে পানেও পচন ধরেছে। এর ফলে পান চাষিদের খাজনার তুলনায় বাজনা বেশি হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। আর বাংলা পাতা পান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ সহ কিছু সময় বাংলাদেশেও তা বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু পানের সেই ধরনের গুণগতমান না হয় ফেলে দিতে হচ্ছে পান বলে চাষিরা জানিয়েছেন।

  ঠেঙ্গাপাড়া এলাকার এক চাষী, গঙ্গারামপুরের আরো দুই চাষিরা জানিয়েছেন, লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে রাস্তায় পান  ফেলে দিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে এবার অবরোধে যাব।

   প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে।তাদের সমস্যার বিষয়টি শুনেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  এমন সমস্যার মধ্যে পান চাষিদের পাশে প্রশাসন দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াই কিনা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here