পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২০ জুন–– সেনায় নিয়োগের স্বল্পমেয়াদি প্রকল্প ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে দেশের একাধিক রাজ্যে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে বিদেশি শক্তির চক্রান্তের বিষয় উস্কে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সোমবার বালুরঘাটে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এমন কথায় জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন দেশের ভিতর কিছু কোচিং সেন্টার রয়েছে, যারাই এমন সব উস্কানি দিতে পারে । বেকার যুবক যুবতীদের ভুল বুঝিয়ে এমন সব করানো হচ্ছে বলে তাঁর ধারনা । শুধু তাই নয়, তিনি আরো বলেন নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে ওই কোচিং সেন্টারের নেতৃত্বরাই এসব বিষয় উস্কে এমনটা করাচ্ছেন। যার কিছু প্রমান ইতিমধ্যে সেইসব রাজ্যের পুলিশদের কাছে এসে পৌছেছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই সব ঘটনা বন্ধ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও দাবী সাংসদের ।
তরুণদের সেনাবাহিনীতে মোতায়েন করার লক্ষ্যে ঘোষণা করা হয় অগ্নিপথ । ১৭ থেকে সাড়ে ২১ বছর বয়সী যুবকদের চার বছরের মেয়াদে নিয়োগ করা হবে এবং ২৫ শতাংশ নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়মিত পরিষেবার জন্য রাখা হবে বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র । সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছর ৪৬,০০০ অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে । যার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ । বিশেষ করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ,দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে আন্দোলন, বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে । ট্রেনে আগুন ধরানো থেকে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, কিছুই বাদ যায়নি । এমন সব ঘটনায় কেন্দ্র সরকার নিয়মে কিছু শিথিলতা দিয়েছে । তার পরেও চলছে বিক্ষোভ। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ এমন মন্তব্য করেন।
দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতার দিল্লী সফরকে তুমুল কটাক্ষ করেছেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । তার কথায় রাজ্যের হিংসা ও দাঙ্গা থেকে মুখ ঘোরাতে এমন খেলা খেলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু সাংসদের দাবী, বিজেপি এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি করবে যাতে বিরোধীরাও সমর্থন করবে ।
এদিন মোদি সরকারকে ধন্যবাদ এবং মমতা সরকারের চরম ব্যার্থতা তুলে ধরে বালুরঘাটে মহা মিছিল করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা । সাংসদের নেতৃত্বে শহরের মঙ্গলপুর থেকে মিছিল করে গোটা শহর পরিক্রম করেন বিজেপির নেতা নেতৃত্বরা । থানা মোড় এলাকায় সভা করে মোদী সরকারের বিগত আট বছরের সাফল্যের ঘটনাগুলি তুলে ধরা হয় । তবে এই রাজ্যে একের পর এক সন্ত্রাস ও হিংসার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় সাংসদ ।