গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার হেরোইন ব্যবসায়ী দুইভাইকে মারধোর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল,তদন্তে পুলিশ
শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ২০জুন, দক্ষিন দিনাজপুরঃ-পাড়াতে হেরোইন বা ধুলোর ব্যবসা করার পাশাপাশি দুই ভাই মিলে বাকি বিক্রি না হওয়া হেরোইন গুলি খেয়ে এলাকায় লাগাতার চুরি করার ঘটনায় দুজনকে মারধোর দিয়ে পুলিশে তুলে দিল উত্তেজিত জনতা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপরী এলাকায়। এলাকবাসীদের অভিযোগ, পাড়ার লোকজন ওদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছেই তাই পুলিশের হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেছে।প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি প্রশাসন শহর এলাকা থেকে এই ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে না?ঘটনায় শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে।
পুলিশ জানাই, ধৃত দুই হেরোইনের ব্যবসা করার পাশাপাশি বাকি বিক্রি না হওয়া হেরোইন খেয়ে এলাকায় লাগাতার চুরি করার ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের নাম প্রবীর বিশ্বাস(রানা) ও সাহেব বিশ্বাস সম্পর্কে তাঁরা দুই ভাই।বাবার নাম সুব্রত বিশ্বাস পেশায় সে গ্যারেজ মিস্ত্রির কাজ করেন।এলাকার বাসিন্দাদের কাছে থেকে যানা গিয়েছে যে, ধৃত দুজন বহুদিন ধরেই এলাকায় হিরোইনের(ধুলার)ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এলাকার যুব সমাজকে তারা দুই ভাই মিলে শেষ করে দিচ্ছেন বহুদিন ধরেই। এমনকি তারা দুজন ব্যবসা করার পাশাপাশি হিরোইনের(ধুলার) যে অংশ তারা আর বিক্রি করতে পারেন না সেই অংশ নিজেরাই খেয়ে নেন প্রায় প্রতিনিয়মত বলে অভিযোগ এলাকার যুব সমাজ থেকে শুরু করে পৌরসভার ওই এলাকার শহরবাসীর। হাতে টাকা পয়সা না থাকলেই চলে দুইভাই এর চুরির কাজ।যার ফলে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ওই দুজনের জন্য বলে খবর।
১৬নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, হিরোইন (ধুলা) খেয়ে তাঁরা দুই ভাই প্রতিনিয়ত পাড়ায় চুরি করে বেড়াচ্ছে।রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও সুযোগ পেলেই তারা চুরি করে বেডান এর ফলে এলাকার বাসিন্দারা কোথাও গিয়ে বাসিন্দাদের শান্তি নেই ওই দুইজন চোরের জন্য বলেও তারা অভিযোগ করে বলেন।
১৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভঙ্কর হালদার, মৌসুমি হালদারেরা অভিযোগ করে বলেন,এলাকায় চুরি ছিনতাই বেড়েই চলেছে। সেই কারনেই তাঁদের পুলিশে এসে
মঙ্গলবার দুপুরে হাতেনাথে ধরে ওই দুজনকে এলাকাবাসীরা গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে। আমরা এলাকায় শান্তিচাই ,প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করুক।
শহরবাসীর প্রশ্ন, কবে বন্ধ হবে এমন কারবার আর যুব সমাজ কবে ভালো মনের মানুষ তৈরি হবে। সেই প্রশ্নই তুলেছেন সকলেই।