প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় তরুনীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অপমানে আত্মঘাতী হলেন কলেজ ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াগঞ্জ থানার কুনোর এলাকায়। বাড়িতে মেয়েটি গলায় ফাঁস লাগানোর পর তাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় আশঙ্কাজনক অবস্থায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
প্রেমের সম্পর্কে যাওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় জনসমক্ষে কলেজ ছাত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও তার সাথে অভব্য আচরনে অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর তাতেই মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করলেন ঐ কলেজ ছাত্রী। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানার কুনোর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ঐ ছাত্রীর নাম ডলি রায়। তিনি কালিয়াগঞ্জ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতেন। পরিবারের অভিযোগ, সুজয় সরকার নামের প্রতিবেশী এক যুবক মাঝে মধ্যেই ঐ ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। কিন্তু প্রতিবারই তা ফিরিয়ে দিতেন ডলি। পরিবারের অভিযোগ সোমবার কলেজ যাওয়ার কুনোর বাসস্ট্যান্ড তেকে টোটোয় ওঠার সময় সুজয় ডলিকে প্রবল উত্যক্ত করতে শুরু করে। তাকে মারধরের পাশাপাশি তার ফোন ভেঙে দেওয়া হয় ও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে বাড়ি এসে গলায় ফাঁস লাগান ঐ ছাত্রী। কোনোরকমে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। ঘটনার প্রেক্ষিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় সুজয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। অভিযুক্তের শাস্তির দাবী তুলেছেন তারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।