পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১০ জুলাই——- অমরনাথ যাত্রায় গিয়ে বিপাকে বালুরঘাটের সাত পর্যটক। যোগাযোগ নেই পরিবারের সাথে, উদ্বিগ্ন পরিজনেরা। এদিকে অমরনাথ যাত্রা নিয়ে সঠিক কোন তথ্যই নেই প্রশাসন বা পুলিশের কাছে। যদিও ওই পরিবার গুলির সাথে যোগাযোগ করে তাদের সবরকম সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
জানা যায়, ৫ জুলাই তারিখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ ও খাসপুর এলাকার মোট সাতজন পর্যটক অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হন। যাদের মধ্যে খাসপুরে পুষ্পজিৎ চক্রবর্তী,
পাগলিগঞ্জের মুকুল সরকার,সুরঞ্জন দে দাস,তোতন হালদার, শুভ্রনীল মুন্সি,তাপস ঘোষ ও রজত সরকারের নাম সামনে আসে। যারা ৫ তারিখ রাতে বাড়ি থেকে বাসে করে শিলিগুড়িতে যায়। এরপর বাগডোগরা থেকে ৬ জুলাই প্লেনে করে পৌঁছায় শ্রীনগর। সেখান থেকেই শুক্রবার মন্দির দর্শনের জন্য রওনা হন তারা। সেই সময়ই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নেমে আসে। যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশকিছু লোকের মৃত্যুর পাশাপাশি জলে ভেসে গিয়ে নিখোঁজও হয়েছেন বহু পর্যটক। সংবাদমাধ্যমে যে খবর সামনে আসতেই রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বালুরঘাট থেকে অমরনাথ যাত্রায় যাওয়া ওই পর্যটকদের পরিবারের লোকেরা। এদিকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অমরনাথ যাত্রায় যাওয়া ওই সাতজনের পরিবার তাদের সঙ্গে সেভাবে কোন যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। আর যার ফলে উদ্বেগ আরো বেড়েছে পরিজনদের মধ্যে। বর্তমান কি অবস্থায় রয়েছে তারা তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছেও অমরনাথ যাত্রা নিয়ে এখনো সেভাবে কোন তথ্য নেই।
গৌরাঙ্গ হালদার ও টুসি চক্রবর্তীরা জানিয়েছেন, তাদের সাথে সেভাবে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। কোথায় কিভাবে আছেন তাদের পরিবারের লোকেরা তা নিয়ে যথেষ্টই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, সরকার যথেষ্ট তৎপরতার সাথে কাজ করছে। বালুরঘাট থেকে যারা গিয়েছেন তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবরকম ভাবেই তাদের সহযোগীতা করা হবে।