শীতল চক্রবর্ত্তী হরিরামপুর ৯জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:-একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি দোকান ,মন্দির, ভাংচুর করা সহ কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মারধোর করে যা পুলিশের সামনে হয় বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর বাজারে শনিবার বিকেলে।রবিবার দুপুরে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেখবর পাবার পরেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি গোটা হরিরামপুর বাজার জুড়ে খোল কীর্তন নিয়ে এলাকায় মিছিল করতে থাকেন দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে।সেখানে বিজেপির জেলা সভাপতি সহ একাধিক মন্ডলের নেতা নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি হরিরামপুর যাওয়ার খবরে প্রশাসনের তরফে বিরাট পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মৃতের পরিবার ও হরিরামপুর থানা সুত্রে খবর, শুক্রবার রাতে গলাকেটে খুন করে দেহ হরিরামপুর থানার বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশের পুকুরের মধ্যে ফেলে দেওয়া ওই ব্যাক্তির নাম তোফাজ্জল হোসেন (৫০) বছর। তার বাড়ি হরিরামপুর থানার পুন্ডরী গ্রাম পঞ্চায়েতের করমজা এলাকায়।মৃতের পরিবার সুত্রে খবর, দির্ঘ দিন ধরে তিনি হরিরামপুর থানার করমজা এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি বহুদিন ধরেই হরিরামপুর ব্লকের মজিদমোডে টোটো মেকানিকের কাজ করতেন।ওই ব্যাক্তির গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পরে। যায় এলাকায়।
বিজেপির অভিযোগ,মৃতের লোকজন ও প্রতিবেশীরা শনিবার বিকেল থেকে হরিরামপুর বহু দোকান ভাংচুর করে।ভাংচুর করে আশপাশে থাকা কয়েকটি মন্দিরও।মারধোর করা হয় বেশ কয়েকজন সিভিকদেরকেও।এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার দুপুরে হরিরামপুরে আক্রান্ত পরিবার গুলোর সঙ্গে কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ড- সুকান্ত মজুমদার।এমনকি তিনি জেলা সভাপতি সরূপ চৌধুরী জেলা নেতা বাপি সরকার সহ হরিরামপুরে একাধিক মন্ডল এর নেতৃত্বদের নিয়ে খোল করতাল হাতে নিয়ে হরেকৃষ্ণ গান করে গোটা হরিরামপুর এলাকার যুগে পরিক্রমা করে। অপদার্থ পুলিশ প্রশাসনের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও বলে স্লোগান দেওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকেরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিনা কারণে আমাদের দোকান ভাঙচুর করে জিনিসপত্র নষ্ট করল।আমাদের অনেক ক্ষতি হল। তাদের কঠোর শাস্তি হোক সেই দাবি জানাই।
জেলার সংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন,একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর সেই সঙ্গে মন্দির ভাঙচুর করেছে মারধর করেছে বেশ কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও। সেই ঘটনা প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করা হয়েছে। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি হবিরামপুরে উপস্থিতির খবরেই জেলা পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করে।
এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।