জলপাইগুড়িঃ-
“ফ্রি ফায়ার” গেমের সঙ্গে “ফ্রি প্রেম”। সে প্রেমের টানে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার পথ উজিয়ে সুদুর ঝাড়খণ্ডের কিশোরী চলে এলো জলপাইগুড়ির বানারহাটে। যদিও হ্যাপি এণ্ডিং হল না। পুলিশের হস্তক্ষেপে নাবালিকার ঠাঁই হল জলপাইগুড়ির একটি মেয়েদের হোমে।
ঘটনার সূত্রপাত বছরদেড়েক আগে। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার ১৪বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিল পরিবার। সেই স্মার্টফোন হাতে পেয়ে ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে নাবালিকা। সেই গেম খেলতে গিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই পরিচয় হয় সুদুর জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের
১৬বছর বয়সী ওই কিশোরের সঙ্গে। গেম খেলতে, খেলতে আদানপ্রদান হয় মোবাইল নাম্বারের। অবুঝ দুটি মন হয়ত টেরও পায়নি, গেমে একে, অপরকে হারাতে গিয়ে নিজেদের মনদুটিকেও হারিয়ে বসেছে একে, অপরের কাছে। দেড়বছর পর যখন টের পেল তখন মেয়েটির বয়স ১৫ ছাড়িয়েছে। ছেলে পা দিয়েছে ১৭তে। তাদের এই “প্রেম-গেম” কিন্তু ঘূনাক্ষরেও টের পায়নি পরিবার-পরিজন। টের পেল সেদিন, যেদিন হটাৎ বাড়ি থেকে উধাও হল কিশোরী । গত ১লা জুলাই মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোজ হয়। খোজ শুরু করে পরিবার। অনেক তত্বতল্লাশির পর তারা জানতে পারে বাসে চেপে মেয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্য পেরিয়ে হাজির হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় শেষপ্রান্তে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে।