ছাত্রীর কান টানায় বিপত্তি, স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে বিবস্ত্র করে মারধর অভিভাবকদের

0
1452
ছাত্রীর কান টানায় বিপত্তি, স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে বিবস্ত্র করে মারধর অভিভাবকদের, উত্তেজনা হিলির ত্রিমোহিনীতে

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২২ জুলাই––– ছাত্রীর কান টানায় বিপাকে শিক্ষিকা। স্কুলে ঢুকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী প্রতাপচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের। এই ঘটনায় শিহরিত প্রায় সকলেই । অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের । শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিদ্যালয় চত্বরে। আতঙ্কিত রয়েছেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিক শিক্ষিকারাও। যদিও পরে  ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ  প্রশাসন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে মধ্যস্ততা করেছেন। যাকে ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা । পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী । সমগ্র ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি হিলির ত্রিমোহিনীতে। 
বিদ্যালয় সুত্রের খবর অনুযায়ী, ত্রিমোহিনী প্রতাপ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ওই স্কুল ছাত্রীর নাম জার্নাতুন খাতুন । বৃহস্পতিবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করছিল সে। যা দেখতে পেয়ে তাকে কিছুটা ধমক দেন স্কুল শিক্ষিকা চৈতালী চাকি। শাস্তি দেবার জন্য তার কানটিও টেনে ধরেন তিনি বলেও অভিযোগ। আর তার পরেই ঘটে বিপত্তি । স্কুল ছুটি হতেই বিষয়টি তার পরিবারের লোকেদের জানান নবম শ্রেনীর ওই স্কুল ছাত্রী। আর তাতেই বেজায় চটে ওঠেন অভিভাবকেরা। শুক্রবার সদলবলে বিদ্যালয়ে চড়াও হন তারা। স্টাফ রুমে ঢুকে একপ্রকার বিবস্ত্র করে মারধোর করা হয় ওই স্কুল শিক্ষিকাকে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও । যদিও পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল কুমার জৈন’এর মধ্যস্ততায় মীমাংসা করতে আসেন ব্লক প্রশাসনের তরফে জয়েন্ট বিডিও এবং জেলা স্কুল পরিদর্শক । পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও। প্রধান শিক্ষকের দাবী মীমাংসা হয়েছে। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা স্কুল চত্বরে কখনই কাম্য নয়।
 বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দীপঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন,  অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে প্রধান শিক্ষককে ।
প্রধান শিক্ষক কমল কুমার জৈন জানিয়েছেন, যা হয়েছে তা কখনই কাম্য নয়। একজন ছাত্রীকে শাসন করতে গিয়ে শিক্ষিকাকে মার খেতে হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here