অনাবৃষ্টির জের, ঋনগ্রস্থ কৃষকের আত্মহত্যা কুমারগঞ্জে। জমিতে যাবার নাম করে সকলের অলক্ষ্যেই গলায় ফাঁস দেয় সে

0
377

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৫ জুলাই ———– অনাবৃষ্টির জেরে ঋনগ্রস্থ কৃষকের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য। জমিতে যাবার নাম করে সকলের অলক্ষ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের  খরাইল এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে ৪৫ বছর বয়সী মৃত ওই কৃষকের নাম শিবনারায়ণ টিজ্ঞা।

পরিবারের তরফে অভিযোগ, অনাবৃষ্টির জেরে পাট পচাতে না পেরে কিছুটা হতাশায় ভুগছিলেন মৃত শিবনারায়ণ। কুমারগঞ্জের দিওড়ের খরাইলের বাসিন্দা তথা পেশায় কৃষক ওই আদিবাসী পরিবারের উপার্জন বলতেই  সামান্য ৪ বিঘা জমি। ধার দেনা করে পাট লাগালেও অনাবৃষ্টিতে জলের অভাবে তা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, জলের অভাবে জমিতে ধানও রোপন করতে পারছিলেন তিনি। সমবায় থেকে সামান্য ঋন নিয়ে চাষবাস করলেও জল কিনে  চাষ করবার ক্ষমতা ছিল না তার। যা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তার উপর বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী,  ছেলে- মেয়ে সহ পরিবারের আট সদস্যর খাওয়া পড়া নিয়েও কিছুটা দুশ্চিন্তায় কাটাচ্ছিলেন তিনি। আর যার জেরে কিছুটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। জমিতে যাবার নাম করে সকলের অলক্ষ্যে মাটির বাড়ির দোতলার একটি ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। 

মৃতের ভাই রমেন টিজ্ঞা বলেন, আটজনের সংসারের ভরসায় ছিল দাদা। কিন্তু বৃষ্টি না হবার কারনে যেমন পাট পাচাতে পারছিলেন না, তেমনি ধানও লাগাতে পারছিলেন না। সমবায় থেকে ঋন করে চাষবাস করলেও জল কেনার ক্ষমতা ছিল না। আর সে নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরে নানা দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। ওইদিন জমিতে যাবার নাম করে সকলের অলক্ষ্যে মাটির দোতলার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে।

কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নামা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here