শিক্ষিকাকে বিবস্ত্র করে পেটানো হলেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়না, আর ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন করলে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করছে। হিলির ঘটনা নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতির
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৪ জুলাই ————– শিক্ষিকাকে বিবস্ত্র করে স্কুলে ভেতরে পেটানো হলেও সুয়ামোটো মামলা হয় না। আর তা নিয়ে ছাত্ররা আন্দোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে সুয়ামোটো মামলা করে পুলিশ। হিলির ত্রিমোহিনী প্রতাপ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে পুলিশকে কড়া ভাষায় বিধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুলিশ একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়ে দালালি করছেন। কেননা একটি সরকারী স্কুলের ভেতরে যখন একজন মহিলা শিক্ষিকাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হচ্ছে, তখন সে ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ মীমাংসা করছেন। আর সে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে যখন ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন তখন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সুয়ামোটো মামলা করছেন। সুকান্ত বাবু আরো বলেন, এধরণের একটি নক্কারজনক ঘটনার কোন অভিযোগই দায়ের হত না, যদি ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন না করতেন। আর এখন পুলিশ সেইসব ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে সুয়ামোটো মামলা করছেন। আর এতেই স্পষ্ট পুলিশ কোন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়ে দালালি করছেন।
উল্লেখ্য, ত্রিমোহিনী প্রতাপ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর স্কুলছাত্রী জানার্তুন খাতুন কে পিঠে চড় দিয়ে শাসন করেছিলেন স্কুলের সহ শিক্ষিকা চৈতালী চাকি। আর তার জেরে স্কুলের ভিতরে শিক্ষিক রুমে ঢুকে ওই শিক্ষিকাকে বিবস্ত্র করে মারধর করেন ছাত্রীর অভিভাবকেরা। যারপর পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে মীমাংসাও করা হয় স্কুল চত্বরে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা। শনিবার যে ঘটনা নিয়ে রাস্তা অবরোধ থেকে বিক্ষোভ সবকিছুতেই সামিল হন কয়েকশো স্কুল ছাত্র ছাত্রী। যারপরেই কিছুটা চাপে পড়ে প্রায় ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ওইদিন রাতেই যাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে হিলি থানার পুলিশ। এদিকে এই প্রতিবাদ আন্দোলন করবার কারনে ইতিমধ্যে প্রায় ৩০-৩৫ জন ছাত্র ছাত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রজু করেছে পুলিশ, বলে দাবি করেছেন সাংসদ। আর যে ঘটনা নিয়েই এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়ে দালালি করছে পুলিশ। ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তায় না নামলে কখনই প্রধান শিক্ষক ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করতেন না। শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তদের শাস্তি চাওয়ার জন্য পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সুয়ামোটো মামলা করছে। যে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।