সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চ্যাটার্জী মূখ খুললেই তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলে যাবেন, গঙ্গারামপুরের জাহাঙ্গীপুরে সভাতে এসে একথা বলেন বিজেপির রাজ্যে সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের খোঁজ খবর নিলেন তিনি
শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ২৬ জুলাই, দক্ষিণ দিনাজপুর :-পার্থ চ্যাটার্জী মুখ খুললেই তৃণমুলের একাধিক নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু মুখ্যমন্ত্রী বলে যাবেন।পার্থবাবু সব বলে দিক এই চুরির সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছেন।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের জাহাঙ্গীপুর এলাকায় জনসংযোগ ও বুথ ভিত্তিক প্রচারে এসে একথা বলেন জেলার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি এদিন আরো বলেন যে,জেলা থেকে রাজ্য প্রতিটি জায়গাতেই এমন ধরনের এজেন্ট রয়েছে তৃণমুলের। প্রতিটি তৃণমূল নেতার বাড়িতেই ফাইল আছে, রয়েছে ঘটনায় যুক্ত গৌড়বঙ্গের একাধিক নেতারাও। সিবিআই তদন্ত করলেই সব বের হয়ে আসবে। তৃণমূলের মহাসচীব সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হবার পরে তৃণমুলের সব নেতারা ঘরে ঢুকে গেছে।পুলিশ নিয়ে কোন মতে চলাফেরা করছে। যেদিন পুলিশ নিরপেক্ষ হবে সেদিন তৃণমুলের ঝান্ডা ধরার লোক থাকবে না বলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন।তিনি বলেন কেন্দ্রের প্রকল্প আর রাজ্যের প্রকল্প বলে
চালানো যাবে না ।তাই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ গঙ্গারামপুর ব্লকের জাহাঙ্গীরপুর এলাকায় দলীয় কর্মীর বাড়ির সামনে তিনি স্বশক্তিকরণ সভা করেন। সেখানে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও বিজেপির জেলা সভাপতি সরুপ চৌধুরী, বিজেপির জেলা সম্পাদক অশোক বর্ধন, বাপি সরকার, বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার সহ জেলা বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শুরুতেই পতাকা উত্তেলন করা হয়। এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ-সকান্ত মজুমদার সহ উপস্থিত নেতাদের চন্দন ও গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
সেখানেই বক্তব্য দিতে উঠে জেলার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি ডঃ-সুকান্ত মজুমদার জানান,পার্থ চ্যাটার্জী মুখ খুললেই তৃণমুলের একাধিক নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু মুখ্যমন্ত্রী জেলে যাবেন। পার্থবাবু সব বলে দিক এই চুরির সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছেন জেলা থেকে রাজ্য প্রতিটি জায়গাতেই এমন ধরনের এজেন্ট রয়েছে তৃণমূলের। প্রতিটি তৃণমূল নেতার বাড়িতেই ফাইল আছে, রয়েছে ঘটনায় যুক্ত গৌড়বঙ্গের একাধিক নেতারাও। সিবিআই তদন্ত করলেই সব বের হয়ে আসবে।এর পরেই কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে সভা শেষ করার পরে বুথ ভিত্তিক প্রচারে বের হয় হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ-সুকান্ত মজুমদার।তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে একাধিক জেলা বিজেপির নেতারা।রাজ্য সভাপতি এর পরেই ১০/১২টি বাড়িতে ঘুরে ঘুরে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘর পেয়েছেন কিনা, মোদির গ্যাস, শৌচাগার পেয়েছেন কিনা ? ভ্যাকসিন পেয়েছেন কি না ?তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয়েছে কিনা সেবিষয়ে জানতে চান তিনি । অনেকেই বলেন ঘর পায়নি, তিনি খাতায় নোট করে নেন।সেই সঙ্গে দলের কর্মীদের সুকান্ত বাবু নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় কোন প্রকল্প রাজ্য সরকারের নামে আর চলবে না ।তাই কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কথায় আছে ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। তাই এখন তৃণমূলের নেতারা নাম কেটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ,প্রধানমন্ত্রী গ্রামীন সড়ক যোজনা নাম দিয়েছেন।
এদিন তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূলের মহাসচীব সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হবার পরে তৃণমুলের সব নেতারা ঘরে ঢুকে গেছে।পুলিশ নিয়ে কোন মতে চলাফেরা করছে। যেদিন পুলিশ নিরপেক্ষ হবে সেদিন তৃণমুলের ঝান্ডা ধরার লোক থাকবে না বলে রাজ্যের তৃণমুল সরকারকে তুলোধনা করেন।
এদিন জেলার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই দিনের অনুষ্টানে ভিড় হয়েছিল ব্যপক। I