গঙ্গারামপুর থানার বানঘরে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে এক যুবকের আহত আরো একজন, অন্য ঘটনায় ঠিকাদারের সাথে টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে গঙ্গারামপুর থানার নয়াবাজার আমগাঁতে আরো এক যুবক আত্মহত্যা করল, পুলিশ মৃত দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পরিবারের শোকের ছায়া

0
304

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর 3 সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর:-পথ দুর্ঘটনায় ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে  দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো এক যুবক। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানা বানগড় ও ও গঙ্গারামপুর থানার নয়াবাজারে আমগা এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এমন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ এলাকার জুড়ে।

  গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, গঙ্গারামপুর থানার বানগড় এলাকার বাসিন্দা সুনীল দাহান পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যু হয়। ঘটনা আহত হয় আরো এক যুবক সুজয় সরকার। দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সুনীলকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সুজনের চিকিৎসা চলছে মহকুমা হাসপাতালে।

 মৃত সুনীলের জামাইবাবু জানিয়েছেন, পথ দুর্ঘটনায় দুজনই আহত হয়েছিল। তারমধ্যে আমার শালক মারা গেছে। তার বন্ধু হতে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। খুব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল।

     অন্যদিকে গঙ্গারামপুর থানার নয়াবাজারে আমগা এলাকায় ঠিকাদারের সঙ্গে এক শ্রমিকের টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিভাগের জেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল শ্রমিক বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানাই মৃত ওই শ্রমিক যুবকের নাম প্রসেনজিৎ মুর্মু বয়স ২২ বছর। তার বাড়ি নয়াবাজারের আমগা এলাকায়।

মৃতের পরিবার সূত্রের খবর কয়েকদিন আগে বিদেশে যাবে বলে সে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে বাড়ি যাওয়ার সমস্ত কাগজপত্র বানিয়েছিল তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে। পরে আর সে বাইরে যাতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, ওই যুবকের কাছে ঠিকাদার খরচের টাকা দাবি করে চাপ দিতে থাকে বলে পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ করেন। সেই কারণেই শুক্রবার গভীর রাতে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে মৃতের পরিবারের লোকজনদের দাবি।

  মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ঠিকাদার টাকা ফেরত এর জন্য ওই শ্রমিক যুবককে চাপ দিতেই সে এমন কাণ্ড করে বসেছে। দোষের শাস্তি চাই।

খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ নিজেদের উদ্ধার করে ময়না  তদন্তে পাঠায়।

পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এমন ঘটনায় মৃতের পরিবার সহ এলাকার জুড়ে সুখের ছায়া নেমে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here