নিখোঁজ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য’র দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

0
208

জলপাইগুড়িঃ- নিখোঁজ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য’র দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় তৃনমুল নেতৃত্ব। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির ঘটনা।

মৃতের নাম ধনেশ রায়। তিনি মাধবডাঙ্গা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং তৃণমূলের দলনেতা। শনিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার, নিগমানন্দ আশ্রম সংলগ্ন ধরলা নদীতে তার মৃতদেহ ভেসে ওঠে। মৃতদেহ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হবে। ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

জানা গিয়েছে,গত শুক্রবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ধনেশ রায়(৫১)। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোজাখুজি শুরু হয়।যদিও তার খোজ মেলেনি। তার মোবাইলও বন্ধ ছিল। শনিবার বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে তার স্কুটি উদ্ধার হয়। তার খোজ না পাওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় ময়নাগুড়ি থানায় মিসিং ডায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ, মাধবডাঙ্গা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আশ্রম সংলগ্ন ধরলানদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি থানায়। নদীতে দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে যায়। স্থানীয় তৃনমুল নেতারা ঘটনাস্থলে আসেন। মৃতদেহ দেখে তারাই অনুমান করেন এটি নিখোঁজ পঞ্চায়েত সদস্য ধনেশ রায়ের। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন এসে দেহ শনাক্ত করে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠায়।
এদিকে ঘটনায় রহস্য দানা বেধেছে। পরিবার এবং স্থানীয় তৃনমুল নেতৃত্বের দাবি, মৃত ধনেশবাবুর মাথায় এবং ঘাড়ে আঘাতের চিনহ রয়েছে। পরিবার এবং স্থানীয় তৃনমুল নেতৃত্বের সন্দেহ খুন করা হয়ে থাকতে পারে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে। কিন্তু কেন এই সন্দেহ করছেন তারা ? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে জানা গিয়েছে ঘটনায় “বান্ধবী যোগ” থাকতে পারে। মৃতের ছেলে রঞ্জন রায় জানিয়েছেন, দক্ষিন মাধবডাঙ্গার বাসিন্দা এক বিধবা মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ধনেশবাবুর। এই নিয়ে একাধিকবার ঝামেলাও হয়েছে। পরিবারের তরফে তো বটেই, দলীয়ভাবেও ধনেশবাবুকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। ওই মহিলার বাড়ির ৫০মিটার দূরে একটি বাশঝাড় থেকে ধনেশবাবুর স্কুটারটি উদ্ধার হয়েছিল। আর তার থেকে কিছুটা দূরেই এদিন নদী থেকে ধনেশবাবুর দেহ উদ্ধার হয়।
ছেলে রঞ্জন রায় জানিয়েছেন, ওই মহিলা তার বাবাকে আর্থিকভাবে ব্ল্যাকমেল করতেন বলে সন্দেহ তাদের। ওই মহিলার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তাদের আক্রোশও থাকতে পারে ধনেশবাবুর ওপর।
ইতিমধ্যেই ওই মহিলা এবং এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
এদিন ঘটনা শুনেই এলাকায় ছুটে যান তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ এবং যুব তৃনমুল জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী। মৃত ধনেশবাবুর বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here