বালুরঘাটের ডি এল আর দপ্তরের অফিস থেকে জমি সংক্রান্ত রেকর্ডের সুনানি তিন মাস পরে নোটিশ পেলেন জমির প্রকৃত মালিক, চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি-ব্যাপক শোরগোল জেলাজুড়ে
শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর। জমি সংক্রান্ত রেকর্ডে শুনানির তিন মাস পরে নোটিশের কাগজ পোস্ট অফিস মারফত হাতে পেলেন প্রকৃত জমির মালিক বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ডি এল আর দপ্তর থেকে সেই চিঠি হাতে চক্ষু চারকগাছ জমির প্রকৃত মালিক চন্ডী বাবু। ঘটনায় ডিএলআর ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জানাবেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের রাজ্যের মন্ত্রীকেও বলে তিনি জানালেন। দপ্তরের এমন গাফিলতির ঘটনায় জেলাজুড়ে শোরগোল পড়েছে।
চন্ডীদাসের আদিবাড়ি গঙ্গারামপুর থানার কাটাবাড়ি এলাকায়। বর্তমানে বহুদিন আগেই তারা গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি মাস্টার পাড়াতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। চন্ডী বাবুর পরিবার সূত্রের খবর, মল্লিকপুর এলাকার কাটাবাড়িতে প্রচুর পরিমাণে তার বাবার নামে জমি রয়েছে। সেজন্যই বর্তমানেও তারা অন্য জনের মাধ্যমে চাষাবাদ করে থাকেন। চন্ডী বাবুর অভিযোগ এলাকারই একজন ব্যক্তি তার বাবার ভুয়া সই করে বেশ কয়েক শতক জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন বলে একটি দলিল তৈরি করেছেন। সেই দলিল দেখিয়ে আবার কয়েকবার একে একে অপরকে দান করেছে। কিন্তু বর্তমান সময় পর্যন্ত চন্ডী বাবুদের জায়গা তাদের নামেই রেকর্ড রয়েছে বলে চন্ডী বাবু সমস্ত কাগজপত্র দেখান।
এদিন চন্ডীবাবু জানান, ওই সমস্ত ভূয়ো দলিল তৈরি করা জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য এলাকার জনক ব্যক্তি একটি মামলা করেছে বালুরঘাট ডি এল এল আরও দপ্তরে। দপ্তর থেকে তাদের পরিবারের সকলকে হাজিরা দেবার জন্য গত ৩০/৫/২০২২ তারিখ সকাল দশটায় সেখানে জেতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সব থেকে অবাক করার ব্যাপার, ডি এল এল আরও দপ্তর থেকে ৩০/৫/২০২২ তারিখে তাদের সেখানে যাবার কথা বললেও স্পিড পোস্ট করে দপ্তর চিঠিটি ১/৯/২০২২ তারিখে তাদেরকে পাঠিয়েছে। চিঠি খুলেই চন্ডী বাবুর চোখ চডক গাছ। প্রশাসন কি এমনটা আদৌ করতে পারেন? নোটিশ দিয়ে তিনি যেতে বলছেন ৩০/৫/২০২২তারিখ বেলা ১০টায়। আর সেই চিঠি ভূমি সংস্কার দপ্তর চলতি মাসের ১/ ৯/ ২০২২ তারিখে স্পিড পোস্ট মারফত পাঠিয়েছে। এটা কখনোই হওয়া সম্ভব নয়।
গঙ্গারামপুর পৌরসভা এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি মাস্টার এলাকার বাসিন্দা চন্ডীদাসের অভিযোগ, বহুবার এর জায়গা রেকর্ড পরিবর্তনের জন্য এলাকার এক ব্যক্তি মামলা করেছে। কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। এবার উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবেই সময় পার করে নোটিসের চিঠি পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর, দপ্তরের মন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হবেন তিনি বলে হুমকি দিয়েছেন।
চিঠি যে ৩ সেপ্টেম্বর এসে পৌঁছেছে ও তা তিন তারিখ বিকেল শনিবারেই রাজিবপুর পোস্ট অফিসের কর্মীরা পৌঁছে দিয়েছেন।
পোস্ট অফিসের ওই কর্মী জানিয়েছেন, চিঠি পাওয়ার দিলেই তা নির্দিষ্ট লোকের হাতে দেওয়া হয়েছে। তার প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে।
এবিষয়ে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন, বিষয়টি ত্রিশ শুনেছেন। দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও ডি এল এল আরও দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে জেলা শাসক জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ডি এল এল আরও দপ্তরের এমন কাজে রীতিমতো ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন শহর এলাকার বাসিন্দারা।