মাদক ব্যবসায়ী ওম গুপ্তার বাড়িতে দ্বিতীয় বারের জন্য তদন্তে আসলেন সিআইডি এক প্রতিনিধি দল

0
322

গঙ্গারামপুরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের বড় বাজারে মাদক ব্যবসায়ী ওম গুপ্তার বাড়িতে দ্বিতীয় বারের জন্য তদন্তে আসলেন সিআইডি এক প্রতিনিধি দল, হাতে পেল ব্যাংকের লেনদেন এবং জমির কিছু কাগজপত্রও


শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর। মাদক মামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ওম গুপ্তার বাড়িতে
দ্বিতীয় দফায় সিআইডি একটি টিম তদন্তে আসলো। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঙ্গারামপুর পৌরসভা ৭নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজার ওই মাদক ব্যবসায়ী ওম গুপ্তার বাড়ির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালায় সিআইডির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজ ও ওম গুপ্তার নামে থাকা বিভিন্ন জায়গায় কেনা জমির কাগজ সিআইডি ওই টিম হাতে পেয়েছে বলে জানা গেছে।সিআইডি এক অফিসার জানালেন,গাজলের ওম গুপ্তার জামাইবাবু মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত ফের আসা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে থেকে আর বেশি কিছু বলা যাবে না।
কয়েকদিন আগে মালদা জেলার গাজোলে বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী জগদীশ সাহার বাড়ি থেকে নগদ কোটি টাকার উপরে উদ্ধার হয়। তিনি গঙ্গারামপুর পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজার এলাকার মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া ওম গুপ্তার জামাইবাবু বলে জানা গেছে। সেই ঘটনা তদন্তেই কৃষ্ণকান্ত বেরার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এক সিআইডির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তদন্তে আসে। তখনো ওই প্রতিনিধি তাহলে সদস্যরা বেশকিছু কাগজপত্র উদ্ধার করে নিয়ে যান ওম গুপ্তার বাড়ি থেকে।ফের এদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারো পাঁচ সদস্যের সিআইডি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ধৃত মাদক ব্যবসায়ী ওম গুপ্তার বাড়িতে তল্লাশি চালান। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সমস্ত নিয়ম পালন করে সিআইডি ৫ সদস্যেরই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় কাগজপত্র খুঁজে বের করেন।
সূত্রে জানা গেছে, সিআইডি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ওম গুপ্তার ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র উদ্ধার করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জায়গা কিনেছেন তার কাগজও তারা উদ্ধার করেন। পুনরায় আবার নিয়ম মেনেই মাদক ব্যবসায়ীর ঘর সিল করে দেওয়া হয়।
সিআইডির দপ্তর সূত্রের খবর, এই ঘটনার তদন্তে যিনি এসেছেন সেই সিআইডি সাব ইন্সপেক্টর কৃষ্ণকান্ত বেরা একজন দক্ষ পুলিশ অফিসার। যেকোনো মামলার সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য বহুদিন আগেই কৃষ্ণকান্ত বাবু মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া সম্মান সেবা পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। তাই এই মামলা তদন্ত দায়িত্ব পেতেই তিনি সমস্ত দিকটা আটঘাট বেঁধেই তদন্তে নামেন।
অনেকেই মনে করছেন, তিনি যে সমস্ত জিনিসপত্রগুলি উদ্ধার করেছেন তার সিজার লিস্ট তৈরি করে মাদক ব্যবসায়ীর ওম গুপ্তার এক আত্মীয় হাতেও তুলে দিয়েছেন। এই মামলার তদন্ত করতে সিআইডি সাব ইন্সপেক্টর কৃষ্ণকান্ত বেরা আরো গভীরে যেতে চান বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।
সমস্ত কাজ সেরে ফেরার পথে এদিন সিআইডি সাব ইন্সপেক্টর কৃষ্ণকান্ত বেরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয়বারের জন্য তদন্তে আসা হয়েছিল। বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত এগুলোই বিষয়টি আরো পরিষ্কারভাবে হবে বিষয়টি কি রয়েছে।
এদিনও ফের সিআইডির টিম ওম গুপ্তার বাড়িতে আসার খবর পেতেই সকলেই তার বাড়ির সামনে ভিড় করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here