পুজোর ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগ নিয়ে দেদার সোনা পাচার সীমান্তে, তিন কেজি সোনা সহ হিলিতে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৮ সেপ্টেম্বর— তিন কেজি সোনা সহ এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল শুল্ক দপ্তর। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে এক ভারতীয়ও। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি চেকপোস্টে। শুল্ক দফতর সুত্রের খবর অনুযায়ী, ধৃতদের একজন মন্টু ভদ্র এবং অপরজন সুমিত ঘোষ। সুমিত ঘোষ কলকাতার বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা হলেও বাংলাদেশ থেকে ক্যারিয়ার হিসেবে এসেছিল মন্টু ভদ্র। ধৃতর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সোনার বাজার মুল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে জানিয়েছে শুল্ক দফতর। জানাগেছে, এদিন বৈধভাবেই সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিল বাংলাদেশী বাসিন্দা মন্টু ভদ্র। যার পরনে থাকা প্যান্টের পিছন পকেট দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় শুল্ক দপ্তরের ইন্সপেক্টর কমল কৃষ্ণ মন্ডলের। এরপর তাকে ধরে তল্লাশি চালাতেই প্যান্টের পিছন পকেট থেকে বেরিয়ে আসে তিন কেজি ওজনের সোনা। যা দেখে এদিন কার্যত অবাক হয়েছেন শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মুল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। ঘটনার পরেই লিঙ্কম্যান হিসাবে কলকাতার বাসিন্দা সুমিত ঘোষ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার পিছনে আরও বড় চক্র জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেছে শুল্ক দফতর। যে তথ্য উদ্ধারে ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা। যদিও অনেকে মনে করছেন পুজোয় প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে এইসব সোনা পাচারকারীরা তাদের কাজ হাসিল করছিল বেশকিছুদিন ধরেই। যার পিছনে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে হিলি ও ত্রিমোহিনীর একাধিক অসাধু কারবারী। মুলত বেশকিছুদিন ধরে বিএসএফের কড়া নজরদারির জেরে গোরু ও ফেন্সিডিল পাচার কিছুটা থমকে যাওয়ায় ত্রিমোহিনীর একাধিক গোরু ও ফেন্সিডিল পাচারকারীরা গোপনে যুক্ত হয়েছে এই সোনা পাচারের সাথে বলেও সুত্রের খবর।
সোনা উদ্ধার হলেও এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া কিছুটা গোপন রাখতে চেয়েছেন শুল্ক দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট দেবরাজ সান্যাল। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া সংবাদমাধ্যমে সামনে আসলে এই ঘটনার মুল চক্রীরা পালাতে সক্ষম হবে। তাই তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।