মাল নদীর দুর্ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করলেন লেখক শিল্পী সমিতির সভ্যরা।তাদের খোজ চালাতে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।

0
181

জলপাইগুড়ি- মাল নদীর দুর্ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করলেন লেখক শিল্পী সমিতির সভ্যরা।তাদের খোজ চালাতে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা। যদিও জেলা প্রশাসন আগেই জানিয়েছে, তাদের কাছে নিখোঁজ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ নেই।

সোমবার গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সমিতির দার্জিলিং জেলা কমিটির কয়েকজন প্রতিনিধি মালবাজার শহরে আসেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধ্যাপক শিশাদ্রী প্রসাদ বসু, সঞ্জিবন দত্ত সহ অন্যান্যরা। 

তারা মালবাজার শহরে সেদিনের বিপর্যয়ে মৃত ব্যাক্তিদের বাড়িতে যান এবং সমবেদনা জানান। পাশাপাশি, তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। 

এরপর প্রতিনিধি দলটি মালনদীর বিসর্জন ঘাটে যান।পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের শিশাদ্রী প্রসাদ বসু বলেন,” এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এই বেদনাদায়ক ঘটনার পরও শিলিগুড়ি কার্নিভাল হলো। এটা বন্ধ রাখা উচিত ছিল। আমরা মৃতদের পরিবার ও স্থানীয় বহু মানুষের সাথে কথা বলেছি তাতে যে তথ্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, শুধু ৮ জন মারা যাননি। আরও প্রায় ৪০ জন মানুষ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। অবিলম্বে তাদের খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের উৎকন্ঠা দূর করা উচিত। পাশাপাশি আগামী দিনে নিরপত্তার সব ব্যবস্থা নিয়ে নদী কেন্দ্রীক অনুষ্ঠান করা উচিত “।

নিখোঁজ নিয়ে গত ৫ দিন ধরে শহরে নানান চর্চা হলেও জেলা প্রশাসনের তরফে গত ৭ই অক্টোবর জানানো হয়েছিল, ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ১৩ জন জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু স্থানীয় থানাতেই নিখোঁজ সংক্রান্ত কোন এজাহার হয়নি । 

সেদিন বিসর্জনে এসে স্রোতের মুখে আটকে ছিল গুরজংঝোড়া চাবাগানের একটি ট্রাক। সেই ট্রাকে উঠে অনেকে প্রানে বাঁচে। সেই বিপর্যয়ের পর ট্রাকচালক চুনিলাল মাহালি এদিন জানান, আমাদের চাবাগানের বহু মানুষ সেদিন ভাসানে গিয়েছিল। তারা সবাই ফিরে এসেছে। 

সেদিন ভাসান বিপর্যয়ে উদ্ধারে হাত লাগিয়ে ছিলেন গুরজংঝোড়া চা বাগানের ডেভিড তাঁতি। কয়েকজনের প্রান বাঁচান। এই কাজে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সেই ডেভিড ছুটি পান।মাল পৌরসভার এম্বুলেন্স তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here