প্রতি বছরের মত এ বছরও ছট পুজোয় মেতে উঠেছে গ্রাম থেকে শহর

0
861

প্রতি বছরের মত এ বছরও ছট পুজোয় মেতে উঠেছে গ্রাম থেকে শহর। ছট পুজোর ঘাট তৈরি ও লাইট এর ব্যবস্থায় সহযোগিতার হাত পৌরসভার।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভার অন্তর্গত টাঙ্গন নদীর ধারে প্রতি বছর দুইটি জায়গা ডাগবাংল ও বংশীহারী ল্যাংড়া ঘাটে ছট পুজোর ঘাট করা হয়। এই ছোট পুজোয় মেতে হিন্দিভাষী মানুষজনেরা। সেই ছট পুজোর উৎসব কি ঘিরে এদিন বুনিয়াদপুরের টাঙ্গুর নদীর দুইটি ঘাটে ব্যাপক ভিড় জমায় সকলেই। হিন্দিভাষী লোকের পাশাপাশি প্রায় সকলে মেতে উঠেছেন এমন অনুষ্ঠানে। কুলোতে করে বিভিন্ন ধরনের ফলের পাশাপাশি ঠেকুয়া পিঠা থেকে শুরু করে সব ধরনের উপকরণ নিয়ে হাজির হয়েছে নদীর ঘাটে হিন্দিভাষী লোকজনের। গঙ্গা দেবীকে সাক্ষী রেখে পুজোর আরাধনায় মেতে উঠেছেন তারা, সোমবার ভোরবেলা সেই নিশ্চয়ই দেখা গেল টাঙ্গুন নদীর দুই ঘাটে। বিগত কয়েক বছর ধরে বুনিয়াদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে ছট পুজোতে ঘাট তৈরির পাশাপাশি টাঙ্গন নদীর ঘাটে অন্ধকার থেকে আলোকিত করার জন্য সহযোগিতা করছেন। সোমবার ভোর ৩ টা থেকে ছট পুজোয় মেতে উঠেছেন সকলেই। ছট পুজো দেখতেও ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। পুজোতে যাতে কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে কড়া নজরদারি জারি রেখেছে প্রশাসন, মোতাইন করা হয়েছিল পুলিশ বাহিনী।
এ বিষয়ে বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন অখিল চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন বুনিয়াদপুর পৌরসভার অন্তর্গত টাঙ্গন নদীর ঘাটে দুইটি জায়গায় ছট পূজা উপলক্ষে ঘাট তৈরি করা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে ছট পুজোতে টাঙ্গন নদী ঘাটে তৈরির পাশাপাশি লাইটের সুব্যবস্থা করা হয়। আজকে সেই ছট পুজোতেই পরিদর্শন করতে এসেছি।

     এই বিষয়ে হিন্দিভাষী এক ব্যক্তি জগত সিং জানিয়েছেন প্রতিবছরের মতো এবছরও আমরা ছট পুজোতে সমস্ত রীতিনীতি মেনে টাঙ্গন নদীর ঘাটে এসে উপস্থিত হয়েছি। আজকের এই দিনটাতে সমস্ত আত্মীয়-স্বজন একত্রিত হয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠি। এর পাশাপাশি ঘাট তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বনিয়াদপুর পৌরসভার কর্তৃপক্ষ ও কোনরকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মতাইন করা হয়েছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here