সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হরিরামপুরের জনসভায় প্রশ্ন তুলেছেন, সুকান্ত মজুমদার দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের জন্য কী করেছেন?

0
248

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হরিরামপুরের জনসভায় প্রশ্ন তুলেছেন, সুকান্ত মজুমদার দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের জন্য কী করেছেন?

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের জনসভায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির সমালোচনা করেছেন এবং দক্ষিণ দিনাজপুর ও রাজ্যের অন্যান্য স্থানে – বঙ্গীয় বিজেপির সভাপতি যে জনগণের কল্যাণের থেকেও বেশি রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে তার নিন্দা করেছেন৷

তৃণমূলে নব জোয়ারের অষ্টম দিনে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, দলের সাধারণ সম্পাদক বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে ১০টি এমন উদাহরণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, যেখানে তিনি বালুরঘাটে উন্নয়ন আনার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শোনার জন্য জড়ো হওয়া জনসমুদ্রকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, “এখানকার মানুষ কি আমাকে এমন একটি উদাহরণ দেখাতে পারবেন যেখানে সুকান্ত মজুমদার, উন্নয়ন নিয়ে বালুরঘাটের অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন? এককভাবে করা সভাগুলি ছেড়ে দিন। উনি এরকম উদাহরণ দিতে পারবেন যেখানে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের জন্য কেন্দ্র অন্তত ১০টি উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে?”

তিনি বলেছেন, “তার জায়গায় সুকান্ত মজুমদার দিল্লির নেতাদের চিঠি লিখে, বাংলার দরিদ্র মানুষ যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছিলেন তাঁদের অর্থ আটকে রাখতে বলেছেন”।

প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করার জন্য বিজেপির নিন্দা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, “আমি বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলছি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে। গরিব মানুষকে হয়রানি করে নয়। আপনারা [বিজেপি] আমাকে যত খুশি গালমন্দ করতে পারেন, কিন্তু আপনাদের জনগণের পাওনা ছেড়ে দিতে হবে”।

গত এক সপ্তাহে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুরে প্রচুর জনসভা করার পর, জন সংযোগ যাত্রা মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরে পৌঁছেছে।

বেলার দিকে, বালুরঘাটে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তেভাগা আন্দোলনের শহিদ বেদী পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। তপনের, চক সতিহার গ্রামের গ্রামবাসীর সঙ্গেও তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে।

আজ রাতে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামের অধিবেশনে, গ্রামবাংলার মতামত কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ওখানেই রাতে অবস্থান করবেন। তিনি ওই অধিবেশনে বুথ স্তরের নেতা-কর্মীদের সামনে ভাষণ দেবেন এবং আগামীকাল সকালে মালদহের দিকে রওনা দেবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here