মদ ব্যবসায় দোকানে আগুন থেকে চারটি দোকান পুড়ে গেল বুনিয়াদপুরে, ক্ষোভ পুলিশের ভূমিকায়
গঙ্গারামপুর ১৩ ই মে দক্ষিণ দিনাজপুর : অবৈধ ভাবে চলা মদের দোকান থেকে আগুন লেগে ভুস্মিভূত পাশের চারটি দোকান। ঘটনায় চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভার রশিদপুর এলাকায়। দোকানে আগুন লেগে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি। একটি দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে কুখ্যাত মত ব্যবসায়ী গোপাল ঘোষ ও পবিত্র ঘোষ হাতের হোটেলের আড়ালে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করে আসছিল। শনিবার সকাল আটটা তিরিশ নাগাদ ব্যবসায়ী পবিত্র ঘোষ নিজের দোকানে গ্যাসে রান্না চাপিয়ে বাজারে চলে যায়। গ্যাস থেকে আগুন লাগে পবিত্র ঘোষের দোকানে। সেই দোকানটি সুবর্ণা হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নামে পরিচিত। সেই দোকানদার মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রচন্ড দাবদাহর কারণে সেই দোকান থেকে আগুন মুহূর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানে আগুন সাধারণ মানুষের চোখে পড়তে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য। খবর দেওয়া হয় বংশীহারী দমকল বাহিনীকে। তৎক্ষণাৎ একটি দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পার্শ্ববর্তী এমিটেশনের দোকান গুলি। প্রায় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায় সমিতির সদস্যদের অভিযোগ বিগত বহু বছর ধরে রশিদপুর এলাকায় অবৈধভাবে দুইটি মদের দোকান দিনের আলোতেই ও রাতের অন্ধকারেও প্রশাসনের সহযোগিতায় মদ বিক্রি করে চলেছে। বহুবার এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। শনিবার আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ সেই অবৈধ মত বিক্রির দোকান থেকেই আগুন লেগে পার্শ্ববর্তী আরও তিনটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভ উগড়েছে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীরা ও পার্শ্ববর্তী দোকানদারেরা। প্রশাসন এই অবৈধ মত বিক্রেতার বিরুদ্ধে কেন কোন রকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসীরা। পার্শ্ববর্তী দোকানদার ও এলাকাবাসীদের দাবি অতি দ্রুত এই অবৈধ মদ বিক্রি বন্ধ হোক তা না হলে এর থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত মুখে পড়তে হবে সাধারণ মানুষজনদের।
এই বিষয়ে বংশীহারী দমকল বিভাগের আধিকারিক প্রদীপ কুমার সাহা জানিয়েছেন রশিদপুরে সুবর্ণা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে গ্যাস থেকে আগুন লেগেছিল। সেই আগুনে ক্ষতি হয়েছে পার্শ্ববর্তী আরও দুইটি দোকান। সেই দোকানে প্রচুর মদের বোতল ছিল যে কারণে আমাদের আগুন নিভাতেও সমস্যা হয়েছে। যদিও বংশীহারী দমকল বিভাগের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এই বিষয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দোকানদার অজিত দাস ও পার্শ্ববর্তী দোকানদার সুজিত সরকার জানিয়েছেন বহু বছর ধরে হয়ে আসছে অবৈধ মদের কারবার। আমরা কোন কিছু বলতে গেলে ও বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে অবৈধ মাপ ব্যবসায়ীরা আমাদের উপর চড়া হয়েছে। আছে আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ অবৈধ মদ ব্যবসায়ী পবিত্র ঘোষ মদ্যপ অবস্থায় নিজের দোকানে গ্যাসের মধ্যে রান্না চাপিয়ে দিয়ে বাজারে চলে গিয়েছিল। দোকানে কেউ না থাকায় সেই গ্যাস থেকে দোকানে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন মুহূর্তের মধ্যে আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। বংশীহারী দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দোকানে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার মত। আমরা চাই রশিদপুরের দুইটি অবৈধ মদ ব্যবসা বন্ধ হোক।
এই বিষয়ে ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন অবৈধ মত বিক্রি নিয়ে আর কি বলব কান পাকলে শোনা যায় তাছাড়া দিনে ও রাতেও দেখা যায় রশিদপুরে দুই দুইটি অবৈধ মদের দোকান রয়েছে। ব্যবসায় সমিতি থেকে অনেকবার পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলো কোন ব্যবস্থা হয়নি। আজ সেই দোকান থেকে আগুন লেগে তিনটি দোকান পুড়ে গেল। আমরা চাই অতি দ্রুত এই অবৈধ মদের কারবার বন্ধ হোক।
এই বিষয়ে নিয়ে সড়ক হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারাও। এই বিষয়ে বিজেপির বুনিয়াদপুর টাউন মন্ডলের সভাপতি দীপেশ বসাক জানিয়েছেন খবর নিয়ে দেখেছি একটি দোকানে গ্যাস থেকে আগুন লেগে পার্শ্ববর্তী আরও দুইটি দোকান পুড়ে গিয়েছে। যে দোকান থেকে আগুন লেগেছে সেই দোকানে অবৈধ মদের কারবার হতে বলে জানতে পারি। আমরা চাই অতি দ্রুত প্রশাসন এদের ব্যবস্থা নিক।
এই বিষয়ে বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন অখিল চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। তবে সেখানে কোন কিছু অবৈধভাবে কারবার চললে সেটি আইন সাপেক্ষ।
এবিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বিধানসভা ক্ষেত্রে কেন এত ভিডিও করছে বংশীয়ারী থানা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল করেছে জেলা জুড়ে