সকাল থেকেই বাঁশ কাটা, বেতি তোলা আর সেই বেতি দিয়ে ডোল খাঁচা, ডালি, টুকরি, কুলা, পলাই, চাইসহ জিনিসপত্র তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর মুস্তাফা নগর গ্রামে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
ওই গ্রামে প্রায় অর্ধ-শতাধিক পরিবার এই শিল্পের ওপর প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। বাঁশ দিয়ে তৈরি কবুতর কাবু, খই চালা, চাউলোন, ভাড়কা জোড়া, হাতপাখা, দাড়িপাল্লা, চাই, ভোড়ং, জলেঙ্গা ডেরু, পাড়া, ডোল খাঁচা, খাটি ডালি, টুকরি ডালি, কুলা, পলাই, ঝুড়িসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেই চলে তাদের জীবনসংসার।
একটা সময় ছিল এই শিল্পে জড়িত ছিলেন ওই গ্রামের কয়েকশ শ্রমিক। সকাল থেকে বাঁশ কাটার আওয়াজ শুরু হতো ওই গ্রামের সর্বত্র। সেই চিরচেনা শব্দ অনেকটাই স্তব্দ হয়ে গেছে।
এই গ্রামের শিল্পীরা জানান, মাত্র কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলে বাঁশ সহজলভ্য ছিল। ৪০ থেকে ৫০ টাকায় একটি বাঁশ কেনা যেত। এখন একটি বাঁশের দাম দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। সেই অনুপাতে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি।
অপর এক শিল্পী জানান, হাতেগোনা আমরা কয়েকটি পরিবার আজো এ কাজে নিয়োজিত আছি। বর্তমানে আগের মতো বেশি লাভ হয় না। নিজেদেরই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ফেরি করে এসব পণ্য বিক্রি করতে হয়। অতিকষ্টে তাদের বাপ-দাদার এই পেশা টিকিয়ে রাখতে ধারদেনা ও বিভিন্ন সমিতি থেকে চড়াসুদে লোন নিয়ে কাজ করছি।