জলপাইগুড়ি:-
করলা নদীর বুকে আটকে রয়েছে প্রতিমার কাঠামো, জলে ভাসছে পূজোর সামগ্রী। বৃহস্পতিবার দুর্গা কার্নিভালের পর, শুক্রবার সকালে এই চিত্রই দেখা গেলো জলপাইগুড়ির কিং সাহেব ঘাট সংলগ্ন করলা নদীতে।
জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে যাওয়া করলা নদী জলপাইগুড়ির লাইফ লাইন বলে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার ছিলো দুর্গা কার্নিভাল। সেই কার্নিভালে অংশ নিয়েছিলো ১৫টি পূজো কমিটি। কার্নিভালের অনুষ্ঠান শেষে সেই পূজো কমিটির প্রতিমাগুলি বিসর্জন হয়েছে জলপাইগুড়ির করলা নদীর কিং সাহেব ঘাটে। বিসর্জনের জন্য পুরসভার তরফে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিলো। নিরাপত্তার জন্য পূজোকমিটির সদস্যদের জলে নামতে দেওয়া হয়নি। ছিলো একাধিক ক্রেন এবং পুরসভার কর্মীরা। ক্রেনের সাহায্যে, পুরসভার কর্মীরাই প্রতিমা বিসর্জন করে। বিসর্জন শেষে নদী থেকে প্রতিমার কাঠামো সহ অন্যান্য সামগ্রী তুলে ফেলার কথা রাতেই। যদিও শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা গেলো বহু প্রতিমার কাঠামো নদীর বুকে আটকে রয়েছে। প্রতিমার রঙ মিশে গিয়েছে নদীর জলে। খড় থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের মালা সহ অনেক কিছুই ভাসছে করলার জলে। কিং সাহেবের ঘাটেও যত্রতত্র পড়েছিলো পুজোর নানান সামগ্রী। পরে বেলা গড়াতে দেখা গেলো গুটিকয়েক পুরসভার কর্মী ঘাট এবং নদী থেকে পূজোর সামগ্রীগুলি তুলে নিয়ে যায়। আর স্থানীয় কিছু যুবক নিজেদের ব্যবহারের জন্য কাঠামোগুলো তুলে নিয়ে যায় নদী থেকে। এই ঘটনায় পরিবেশকর্মী থেকে শুরু করে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার কর্তব্য পালন নিয়ে। রাতে সমস্ত ব্যবস্থা থাকলেও কেন সাফাইয়ের সম্পূর্ণ কাজ করা হলো না? একই কাজের জন্য পরপর দুদিন অর্থ ব্যায়ের কি প্রয়োজন ছিলো?
যদিও পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে যথাসম্ভব সাফাই করা হয়েছে করলী নদী এবং কিং সাহেবের ঘাট। তবে অনুষ্ঠান শেষ হতে রাত হয়ে যাওয়ায় কিছু কাজ বাকি থেকে যায়। তা শুক্রবারের মধ্যে পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে।
ভিস বাইট👇