খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে গঙ্গারামপুর কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের শ্যামা পূজার কাজের সূচনা হলো

0
247

খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে গঙ্গারামপুর কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের শ্যামা পূজার কাজের সূচনা হলো-দেওয়া হল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাও হন
শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৩১ অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর।শ্যামাপুজোতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে গঙ্গারামপুর এর একটি নামকরা ক্লাব পুজোর আয়োজন করে থাকে।যা এই ক্লাবের বৈশিষ্ট্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথা উত্তরবঙ্গের মধ্যে খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে বহুদিন ধরেই।গঙ্গারামপুর পৌরসভার শেষ লগ্নে অবস্থিত কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের শ্যামা পূজোতে প্রতি বছরই কোনো না কোনো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকেই তাদের পুজোতে। প্রতিমা ,আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে এবারের শ্যামা পুজোতে বিভিন্ন ধরনের থিমকে  সাজিয়ে তুলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবারে তারা উল্লেখযোগ্য শ্যামাপূজা উপহার দিতে চলেছেন গঙ্গারামপুর তথা জেলাবাসীকে। পুজো নিয়ে থাকবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানও।এবারও তাদের পুজো হবে জেলার সেরা আশাবাদী ক্লাব কর্তপক্ষ।
গঙ্গারামপুর এর কলদিঘী পদাতিক ক্লাবের এবারের শ্যামা পূজা ৪৭বছরে পা দিয়েছে।প্রতি বছরই গঙ্গারামপুর এর মধ্যে শ্যামাতে পুজো দর্শনার্থীদের কাছে  সারা জাগানো পুজো করে থাকে তারা।বিগত পুজো গুলিতে তারা বিভিন্ন ধরনের থিম তুলে ধরে সকলকে আনন্দে দিয়েছিল। এবছরও শ্যামা পুজোতে কালদিঘি পদাতিক ক্লাব হোগলা পাতা দিয়ে হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে পুনরুদ্ধন করার চেষ্টায় কাল্পনিক মন্দির তৈরি করছেন।শ্যামা প্রতিমাতে থাকছে ডাকের সাজ। চন্দননগরে আলোকসজ্জাতে শ্যামামাকে সাজিয়ে তুলবেন সেখানকার মৃৎশিল্পী। আলোকসজ্জায় থাকছে চন্দননগরের শিল্পীরা। পূজনীয় থাকবে বিশেষ অনুষ্ঠানও। এদিন সকালে মন্ত্র উচ্চারণ ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে খুঁটি পূজার সূচনা করেন কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের সম্পাদক আনন্দ দাস , ক্লাবের সভাপতি সংখ্যালঘু সামসুদ্দিন আহমেদ, ক্লাব সদস্য সুকান্ত সরকার ,সরজিৎ সরকার, অচিন্ত সরকার, টগর মন্ডল,সুরজিৎ, বিজয় রায়,সহ বহু ক্লাবের সদস্যরা। ঠিকভাবে সদস্য রয়েছে হিন্দুদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনও। তারাই মিলিতভাবে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শ্যামা পূজোতে ব্রতী হয়েছেন। সারা বছর ধরে ই সাধারণ মানুষ জন্মের পাশে থেকে এই ক্লাবে সদস্যরা কাজ করে যায়।
ক্লাবের সম্পাদক আনন্দ দাস জানিয়েছেন, শ্যামা পূজার মধ্য দিয়ে আমাদের ক্লাব মানুষজনকে অন্যভাবে আনন্দ দিয়ে থাকি আমরা। মানুষজনকে সচেতন করার পাশাপাশি সকলেই যেন পুজো আনন্দ উপভোগ করতে পারে তার জন্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা করা হয়। প্যান্ডেল প্রতিমা থেকে শুরু করে সবেতেই থাকবে চমক।হিন্দু  মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন মিলিতভাবে আমরা পূজা পালন করে থাকি।আমাদের পুজো হবে সকলের কাছে উল্লেখযোগ্য।
কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের সভাপতি  সংখ্যালঘু  সামসুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আমাদের  ক্লাবের এই পুজো আমারা উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজন মিলিত পুজো করে থাকি।সকলে আনন্দ উপভোগ করে থাকি আমরা।তাই মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান মুসলিম তাহার নয়ন মনি হিন্দু তাহার প্রাণ।
প্যান্ডেল শিল্পী জানিয়েছেন, আমাদের কারুকার্য আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে। সেই ভাবেই প্যান্ডেলের কাজ শুরু করা হয়েছে হলো।
এবছরও গঙ্গারামপুরের কালদিঘি পদাতিক ক্লাব জেলার মধ্যে সেরা শ্যামা পূজার উপহার দিতে চলেছে সে ব্যাপারে বলার অবকাশ রাখে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here