গঙ্গারামপুরের মহারাজপুরে অসুস্থ ভবঘুরে পড়ে রয়েছে ব্রিজের পাশে, প্রশাসন প্রধান থেকে শুরু করে সহায়তা করতে গিয়ে আসেনি কেউ, প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলেই যুবকেরাই সহায়তা করবে জানালেন তারা। গঙ্গারামপুর,১ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর :পায়ে ক্ষত,সেই ক্ষতের অসহ্য যন্ত্রনায় পড়ে পড়ে দিনের পর দিন আকাশের নীচে কাতরাচ্ছেন এক ভবঘুরে। অথচ পাশ দিয়ে বহু মানুষ গেলেও ভবঘুরের দিকে কেউ ফিরে দেখেনি। এমনই চিত্র দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার মহারাজপুর হাতিডোবা সেতুতে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকেরা ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করায় কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই ভবখুরে। এখন কেউ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে কিনা সেটাই দেখার।
গঙ্গারামপুর শহর সংলগ্ন মহারাজপুর হাতিডোবা সেতু। সেতুটির ওপর গত কয়েকদিন ধরে পড়ে রয়েছে এক ভবঘুরে। বছর ৪০শের ভবঘুরের পায়ে ক্ষত থেকে পচন ধরেছে। পা থেকে বের হচ্ছে পোকা। অসহ্য যন্ত্রনায় সেতুর ওপর পড়ে পড়ে কাতরাচ্ছেন। পেটে খাবার নেই। দিনের পর দিন না খেয়ে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অথচ ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের হাতিডোবা সেতু দিয়ে বহু মানুষ ও প্রসাশনের আধিকারিকরা যাতাযাত করলেও অসহায় ভবঘুরের অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরানোর আওয়াজ শুনে কেউ এগিয়ে আসেননি। খোঁজ নেয়নি নেই। এদিন দুপুর হতেই মহারাজপুরের যুবকরা ভবঘুরেকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।সেই সাথে তারা সরকারি সাহায্যে ভবঘুরের চিকিৎসার দাবি তুলেছেন।
মহারাজপুর এলাকার বাসিন্দা মিলন বর্মন বলেন,গত কয়েক দিন ধরে দেখছি আমাদের হাতিডোবা সেতুর ওপর এক ভবঘুরে বসে আছে। কয়েকদিন তার খাবার জোটেনি। এদিন আমরা জানার পর তাকে খাবার দিতে আসি। এসে দেখছি তাঁর পায়ে গা হয়েছে। ভবঘুরে যাতে সুচিকিৎসা পায় সেই দাবি আমরা করছি।
এলাকার যুবক বিশ্বজিৎ সরকার বলেন,এক ভবঘুরে বেশ কিছুদিন ধরে হাতিডোবা সেতুর ওপর শুয়ে বসে থাকবে। দেখে বোঝা যাচ্ছে সে ভীষন অসুস্থ। ভবঘুরের চিকিৎসার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি। প্রসাশনিক ভাবে তেমন সাহায্য পাইনি। তিনি বলেন প্রসাশনিক ভাবে ভবঘুরে যাতে সুস্থ হয়ে ওঠে সেই দাবি আমরা করছি। স্থানীয় বেলবাড়ি(৩)২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও ব্লক প্রশাসন তরফে জানানো হয়েছে তারা বিষয়টি শুনলেন দেখছেন। এখন দেখার এটাই প্রশাসন, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে সহৃদয় ব্যক্তিরা ওই ভবঘুরের জীবন বাঁচাতে হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসা পাইয়ে দিতে পারে কিনা সে বিষয়েই তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।