গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে কৃষি জমিতে নারা পুড়ানো প্রতিরোধ দিবস পালন করা হল মিছিল করা সহ কৃষকদের সচেতনতার মধ্যে দিয়ে, অনুষ্ঠানে কৃষকদের ভিড় হয়েছিল ব্যাপক
গঙ্গারামপুর ৩ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৃষি জমিতে নারা পুড়ানো প্রতিরোধ দিবস পালন করা হলো। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে মিছিল করে কৃষকদের সচেতনতারও বার্তা দেওয়া হয় ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে। এমন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কৃষকদের ভিড় হয়েছিল ব্যাপক। কৃষি দপ্তরের তরফে সরকার বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের একাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। যে কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তর। কৃষি দপ্তরের ব্লকের কৃষি আধিকারীক সুদীপ্ত সরকার কাজে যোগদান করার পর থেকেই কৃষকদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ দেবার পাশাপাশি কৃষি কাজে সকলকে আরো স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ যেমন দিয়েছেন তিনি, তেমনি বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের সচেতনতা মূলক প্রচার করেছেন বিভিন্নভাবে।৩রা নভেম্বর কৃষি জমিতে জমিতে নারা পুরনো প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে বিভিন্ন জায়গায়। সেই মতে গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের তরফে কৃষি জমিতে নাড়া পুরানো প্রতিরোধ দিবসে এই দিনটি পালন করা হয়। এদিন দুপুরে গঙ্গারামপুরের কালদিঘী কৃষি দপ্তরের অফিস থেকে এক বিরাট মিছিল বের হয়।যে মিছিলে পা মেলান গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক সুদীপ্ত সরকার, সহকারী ব্লক কৃষি আধিকারিক ফিলিপ কুজুর, গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ গীতু ভট্টাচার্য, সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিল শেষে অফিসের মিটিং হলে কৃষকদের নিয়ে উপস্থিত কৃষি দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মাধ্যক্ষরা মিলে এক সচেতনামূলক প্রচারের জন্য আলোচনা সভাও করেন। সেখানে গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারী সহ উপস্থিত কর্মাধ্যক্ষরা ধানের জমিতে ফসল কেটে নেবার পরে জমির অবশিষ্ট অংশ নাড়া পুড়িয়ে ফেললে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেন। এবিষয়ে গঙ্গারামপুর ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক সুদীপ্ত সরকার, ও সহকারী ব্লক কৃষি আধিকারিক ফিলিপ কুজুর জানিয়েছেন, কৃষকদের বিভিন্নভাবে সচেতন করা হলো এমন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তারা যেন কোনোমতেই ধানি জমিতে ধানের নাড়া পুড়িয়ে জমির যেন বিরাট ক্ষতি ডেকে আনে। সেটাই বুঝানো হয়েছে। গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ গীতু ভট্টাচার্য জানিয়েছে, সবসময় আমরা চাইছি কৃষকেরা যেন কৃষিকাজে কোন সমস্যার মধ্যে না পড়েন। সেই বিষয়টি কৃষকদের সামনে বিভিন্নভাবে তুলে ধরা হলো এমন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এক কৃষক জানিয়েছেন, এমন অনুষ্ঠানে এসে জানতে পারলাম কৃষি জমিতে কখনোই ধানের নাড়া পুড়িয়ে ফেলা উচিত নয়। ধন্যবাদ জানাই কৃষি দপ্তরের আধিকারিক ও তার টিমকে। এমন অনুষ্ঠানে কৃষকদের ভিড় হয়েছিল ব্যাপক।