চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু সীমান্ত শহরে! সরকারী হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ রোগীর পরিবারের লোকেদের।

0
211

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু সীমান্ত শহরে! সরকারী হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ রোগীর পরিবারের লোকেদের।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৬ নভেম্বর ————– চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু সরকারী হাসপাতালে! সোমবার সকাল থেকে রোগীর পরিবারের লোকেদের তোলা এমন অভিযোগ কে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলি গ্রামীন হাসপাতালে। চলে হাসপাতাল চত্বরে রোগীর পরিবারের লোকেদের বিক্ষোভও। যদিও ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে হিলি থানার পুলিশ।

জানা যায়, হিলি থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তি কর্মকার(৫৫)কে রবিবার রাতে জ্বর নিয়ে হিলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাড়ির লোকেরা৷ পরিবারের লোকেদের দাবি ভর্তির সময়ে তিনি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন। এমনকি চিকিৎসকও তাঁকে দেখে স্বাভাবিক রয়েছেন এমনটাও জানিয়েছিলেন। এরপরই কিছুটা স্বস্তি বোধ করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চলে যান বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, এরপরেই গভীর রাতে জরুরি ভাবে পরিবারের লোকেদের ডেকে পাঠানো হয় হাসপাতালের তরফে। শুধু তাই নয়, জানানো হয় রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা ছুটে এসে রোগীকে মৃত অবস্থায় দেখেছেন। এরপরেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মৃত রোগীর পরিবারের লোকেরা। তাদের অভিযোগ, মৃত রোগীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তড়িঘড়ি বালুরঘাট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করছিল। মৃত ওই মহিলাকে কেন অন্য হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছিল তা নিয়েই সরাসরি চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতর পরিবারের লোকেরা। যাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে হিলি গ্রামীন হাসপাতালের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতর পরিবারের লোকেরা। যদিও তাদের তোলা অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন বিএমও এইচ।

মৃতর রোগীর প্রতিবেশী তাপস মন্ডল বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই হিলি গ্রামীন হাসপাতালে। এই বিএমও এইচ আসবার পর থেকেই হাসপাতালের এম্বুলেন্স ও জেনারেটর পরিষেবা সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে রয়েছে। চিকিৎসক দের কোয়ার্টার থাকলেও সেখানে তারা কেউই থাকেন না। আর এই চরম অব্যবস্থায় পড়েই তাদের প্রতিবেশীর মৃত্যু হয়েছে।

হিলি গ্রামীন হাসপাতালের বি এম ও এইচ রুদ্রাংশু মজুমদার বলেন, তাদের তোলা অভিযোগ সঠিক নয়। জ্বর কমলেও রাতে অনান্য শারিরীক অবনতি তৈরি হয়েছিল রোগীর শরীরে। তাই রোগীকে বালুরঘাট রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের লোকেরা পৌঁছাবার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়েই এদিন তারা কিছুটা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here