গঙ্গারামপুর থানার ঠ্যাঙ্গাপাড়ায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় সারের কালোবাজারি বন্ধসহ একাধিক দাবি নিয়ে
গঙ্গারামপুর,৭ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর: সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। সারের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারকে ভরতুর্কি দিতে হবে। ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে হবে। এই সমস্ত দাবি সহ একাধিক দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন সারাভারত কৃষকসভা ও সারাভারত ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে গঙ্গারামপুর থানার ঠ্যাঙ্গাপাড়ায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। এদিনের অবরোধের জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
রবি শস্যে মরসুম শুরু হতে গঙ্গারামপুর সহ জেলা জুড়ে রাসায়নিক সারের কালোবাজারি অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বস্তা প্রতি প্রায় ৫০০ টাকা সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এদিন সকাল হতে সারা ভারত কৃষকসভা ও সারা ভারত ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের কর্মী সমর্থকরা গঙ্গারামপুর থানার ঠ্যাঙ্গাপাড়ায় হাজির হয়। সেখানে তারা হাজির হয়ে সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবি তোলেন। দ্রুততার সঙ্গে সারের ভরতুর্কি দেবার দাবি করে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিন প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে আটকে পড়েন বালুরঘাট,হিলি,রায়গঞ্জ,শিলিগুড়ি,মালদা,কলকাতা সহ দুর দুরান্তের আত্মীয় স্বজনরা।
সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে নেতৃত্ব দেন সারা ভারত কৃষক সভার গঙ্গারামপুর থানা কমিটির সম্পাদক মনীন্দ্র নাথ সরকার অন্যতম কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায়, ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি সুবীর কুমার দাস,শ্রমিক নেতা অচিন্ত্য চক্রবর্তী পার্থ সরকার, সুশান্ত বিশ্বাস প্রমুখ।
ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি সুবীর কুমার দাস বলেন,বাজারে যখন কৃষকরা ফসল বিক্রি করতে যাচ্ছেন। সেসময় তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। কিন্তু ফসল লাগানোর সময় নির্ধারত মূল্যের চেয়ে প্রতি বস্তায় ৫০০ টাকা বেশি দিয়ে সার কিনতে হচ্ছে।আজকে আমরা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রসাশন ও কৃষি আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানাতে চায় সারের যে কালো বাজারি সেটা যেন বন্ধ হয়। সুবীর বাবু বলেন, কেন্দ্র সরকারকে সারের ভরতুর্কি দিতে হবে। গ্রামের মানুষ ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না। দ্রুততার সঙ্গে ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে।
সারা ভারত কৃষক সভার গঙ্গারামপুর থানা কমিটির সম্পাদক মনীন্দ্রনাথ সরকার বলেন,সারের দোকান গুলিতে প্রচুর পরিমানে সার মজুত রয়েছে। অথচ লাগাম ছাড়া সারের কালোবাজারি চলছে। কৃষকরা আর্থিক ভাবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে এবং সারের ওপর ভরতুর্কি দেবার দাবিতে আজকে আমরা পথ অবরোধ করেছি। এরপরেও যদি সারের কালোবাজারি বন্ধ না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।