১৫০ বছরের গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়িদিঘিতে ঐতিহ্যবাহী পাথরের বুড়িমাতার পুজোতে ভক্তদের ভিড় হলো ব্যাপক,উপস্থিত বিশিষ্টজনারা
গঙ্গারামপুর, ৭ : ঐতিহ্যবাহী পাথরের বুড়িমাতার পুজোয় মাতল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার বুড়িদিঘির বাসিন্দারা। পুজো দিতে ভিড় জমালেন হাজারো ভক্ত। পুজো নিয়ে রয়েছে বিশেষ ইতিহাসও
প্রায় ১৫০ বছর আগে কথা। সে সময় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়িদিঘি এলাকা ছিল ফাঁকা। সেসময় এলাকায় পুকুর খননের সময় ৩ ফুট উচ্চতা ও ১০ হাত বিশিষ্ট একটি পাথরের মূর্তি উদ্ধার হয়। ১০ হাত বিশিষ্ট পাথরের মূর্তিটিকে পেয়ে গ্রামের প্রবীন বাসিন্দারা বুড়ি দেবতা হিসেবে পুজোর্চনা শুরু করেন। গড়ে তোলেন বুড়ি মাতার মন্দির। তারপর থেকে প্রতিবছর কার্তিক মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বুড়িমাতার মন্দিরে বার্ষিক পুজো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এদিন কার্তিক মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার হওয়ায় ভেদাভেদ ভুলে এলাকার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন বুড়িমাতার পুজোয় মেতেছেন।
বুড়িমাতার পুজো ঘিরে এদিন সকাল থেকে এলাকায় ছিল সাজ সাজ রব। বেলা হতে ভক্তরা
তেল,সিঁদুর,দুধ,চিনি,বাতাসা, ফুল বেলপাতা ও ভোগ নিয়ে পুজো দিতে ভিড় জমান। বুড়ি মাতার পুজোয় বলি প্রথা রয়েছে। বহু ভক্ত মানত দিতে আসেন। এছাড়াও পুজো ঘিরে এলাকায় বসেছে মেলা। সন্ধ্যে হতে ভিড় জমে ওঠে।
বুড়িদিঘির বুড়িমা মন্দিরের অন্যতম কর্মকর্তা তথা গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিজয় গুপ্তা বলেন,আমাদের বুড়িদিঘির বুড়িমা মাতার মন্দিরটি প্রায় দেড়শো বছরের। পুরোনা ।৩ ফুট উচ্চতার বুড়ি মাতার ১০ টি হাত রয়েছে। পাথরের মূর্তিটিকে আমরা বুড়ি মাতা রুপে পুজো করি। প্রতিবছর কার্তিক মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার মায়ের বার্ষিক পুজো হয় । প্রথা অনুযায়ী এদিন ধুমধাম সহকারে বুড়িমাতার পুজো করা হল। স্থানীয় উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অসিত কুন্ডু জানিয়েছেন, পূজো নিয়ে বহু নিয়ম রয়েছে। মা খুবই জাগ্রত সেটা নিয়ে এখানে ছুটে আসা হয়েছে। পুজো দিতে আসা মায়ের দুই ভক্তরা জানিয়েছেন, মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলেই মায়ের কাছে বারবার ছুটে আসি। মেলাতে ভিড়ও হয়েছিল ব্যাপক।