অন্ধকারে পঞ্চায়েত! সরকারী গাছ কেটে দেদার বিক্রি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর। হাতেনাতে পাকড়াও, বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১২ নভেম্বর ————পঞ্চায়েতের চোখে ধুলো দিয়ে রাতের অন্ধকারে বহু প্রাচীন সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীর বিরুদ্ধে। হাতেনাতে পাকড়াও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। শনিবার রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায়। ঘটনার পরেই উদ্ধার হওয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকা মুল্যের গাছের গুড়িগুলি পঞ্চায়েতের সামনে এনে বালুরঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রের খবর অনুযায়ী, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায় ওইদিন রাতে দুটি গাছ বোঝায় ভুটভুটি কে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা। যা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ হতেই গাছের গুড়ি বোঝাই ভুটভুটি দুটিকে আটক করে স্থানীয়রা। চলে ভুটভুটি চালকদের ঘেরাও করে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভও। যে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌছে ভুটভুটি বোঝাই গাছের গুড়িগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কালাইবাড়ি সংসদের স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী সঞ্জয় দাস গোপনে সরকারী ওই গাছগুলি হিলির তিওড়ের এক গাছ বিক্রেতার কাছে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছিল। এদিন যা হাতেনাতে ধরা পড়তেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দাবি তোলা হয় গ্রেফতারিরও। যদিও এই ঘটনার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জোসনা দাস।
ভুটভুটি চালক বলেন, পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী সঞ্জয় দাস ৩২ হাজার টাকার বিনিময়ে গাছগুলি বিক্রি করেছে। যেগুলি কাঠ মালিকের নির্দেশে তিওড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
নারায়ন বর্মন নামে এক গ্রামবাসী বলেন, সরকারী গাছগুলি পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী গোপন বিক্রি করে দিয়েছিল। যেগুলি তারা হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন। যার বাজার মুল্য প্রায় একলক্ষ টাকার কাছাকাছি।
ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবু সরকার বলেন, গাছগুলো সরকারী গাছ। কারা সেগুলো কেটে বিক্রি করছিল তা তিনি জানেন না। পুলিশ তদন্ত করলেই সব সামনে চলে আসবে।