রবিবার সন্ধ্যায় গঙ্গারামপুরে কালদিঘী পদাতিক ক্লাবের শ্যামা পূজো মন্ডপের সূচনা করলেন প্রাক্তন সংসদ অর্পিতা ঘোষ, উপস্থিত থাকুন বিশিষ্টজনেরা, করা হলো দুস্থ এক পরিবারকে সহায়তাও।
গঙ্গারামপুর১২ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথা উত্তরবঙ্গের মধ্যে বহু বছর ধরে খ্যাতি অর্জন করে আসছে গঙ্গারামপুর পৌরসভার শেষ লগ্নে অবস্থিত কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের শ্যামা পূজো। একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন করলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী অর্পিতা ঘোষ। প্রতি বছরেই তারা কোনো না কোনো আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকে। প্রতিমা ,আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে এবারের শ্যামা পুজোতে বিভিন্ন ধরনের থিমকে সাজিয়ে তুলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। গঙ্গারামপুরের কলদিঘী পদাতিক ক্লাবের এবারের শ্যামা পূজা ৪৭বছরে পা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিত ছিলেন। ছিল দুই সম্পদের একটি মিলনক্ষেত্রও। কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের পুজোর আর্কষণ হোগলা পাতার প্যান্ডেল। হোগলা পাতার প্যান্ডেলের মধ্যদিয়ে হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে পুনরুদ্ধন করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিমার থিমে রয়েছে বৈষব দেবীর আবিভাব। দেখানো হয়েছে বলিরপুত্র বৈষ্ণবের তিন পা এবং ১৬ মাথা মায়ের রুপ। শনিবার সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের পুজো মন্ডপের সূচনা করা হয়।ফিতে কেটে পুজো মন্ডপের সূচনা করেন প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ,তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার,তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস উপস্থিত ছিলেন । কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের সম্পাদক আনন্দ দাস , ক্লাবের সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,ক্লাবের সভাপতি সামসুদ্দিন আহমেদ, ক্লাব সদস্য সুকান্ত সরকার , সুরোজিৎ সরকার, অচিন্ত সরকার, টগর মন্ডল,বিজয় রায়,সহ বহু ক্লাবের সদস্যরা।এদিন সন্ধ্যে থেকে প্রতিমা দেখতে ভিড় জমে। এবিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস বলেন,এই ক্লাবের পূজো সকলের কাছে আনন্দ দিয়ে থাকে। তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। কালদিঘি পদাতিক ক্লাবের সম্পাদক আনন্দ দাস জানিয়েছেন, আমাদের ক্লাব এবার জেলার সারা জাগানো পূজা করেছে।সেইসঙ্গে সারা বছর ধরে যেভাবে মানুষ থেকে কাজ করে যাওয়া হয় আজও সেই রকম একজনকে সহযোগিতা করা হয়েছে। পূজো নিয়ে থাকবে বিশ্বাস অনুষ্ঠানও। এ বছরে যে কালদিঘি প্রদাতিক ক্লাব জেলার মধ্যে সাড়া জাগানো শ্যামা পূজা করবে সে বিষয়ে বলার রক্ষা রাখেনা।