ক্ষমতা নয়, সম্পর্কই গড়তে পারে উন্নত সমাজ। বালুরঘাটের চকভৃগুতে আই সি ডিএস কর্মীর বাড়িতে ভাইফোঁটা দিয়ে বললেন ডি আইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৫ নভেম্বর ———-ক্ষমতার বড়াই নয়, একমাত্র সম্পর্কই গড়তে পারে উন্নত সমাজ। পুলিশি কর্ম ব্যস্ততাকে কিছুটা দূরে রেখে বালুরঘাটে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে দেওয়া ভায়ের প্রতিশ্রুতি পালন করে জানালেন ডি আই জি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে বালুরঘাটের চকভৃগুতে আই ডি এস কর্মী বানী চন্দ্র রায়ের বাড়িতে সশরীরে হাজির হয়ে ভাইফোঁটা নেন দুই দিনাজপুর ও মালদার রেঞ্জের ডি আই জি। হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে ভাইফোঁটার এই বিশেষ দিনে দাদাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন পঞ্চাশোর্ধ বানী দেবী। শুধু তাই নয়, ভাইকে জড়িয়ে ধরে সাত বছরের স্মৃতিচারনাও করেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। আর যা দেখেই কার্যত অবাক হয়ে যান প্রতিবেশীরাও।
বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার বাসিন্দা পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বানী চন্দ্র রায়। স্বামী বিকাশ রায় পেশায় মাংস ব্যবসায়ী। জানা যায়, ২০১৬ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরে পুলিশ সুপার থাকাকালীন সময়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন চকভৃগুর বাসিন্দা তথা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বানী চন্দ্র রায়। যে সময়ই পুর্বজন্মের যোগসূত্রের কথা উল্লেখ করে ততকালীন পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিজের দাদা বলে দাবি করেন ওই মহিলা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সাতবছরের প্রতিটি সময়েই বোনের যাবতীয় দায়ীত্বও পালন করে আসছেন তিনি। অন্যদিকে বানী দেবীর সাথে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও পঞ্চাশোর্ধ মহিলার দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ সাত বছর ধরে দাদার কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ডি আই জি হিসাবে তিন জেলার দায়ীত্ব কাধে নেবার পরেও এদিন বোনের প্রতি দাদার কর্তব্য থেকে অবিচল থেকেছেন ডি আই জি।
বানী চন্দ্র রায় বলেন, এসপি বা ডি আই জি হলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তার দাদা। পুর্বজন্মে তিনি তার দাদা ছিলেন, স্বপ্নাদেশে তা জানবার পরেই তার কাছে ছুটে গিয়ে একটা জানিয়েছেন। তারপর থেকেই দীর্ঘ সাতবছর ধরে ভাইফোঁটা দিয়ে চলেছেন। ব্যস্ততার মাঝে সবসময় যোগাযোগ না হলেও এই বিশেষ দিনটিতে দাদাকে কাছে পেয়ে সমস্ত অভাব অভিযোগ জানান তিনি।
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী। একমাত্র সম্পর্কই সমস্ত উন্নতির চাবিকাঠি। যে হিসাবে বোনের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও ভাইফোঁটা দিতে এসেছেন।