হিলিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া ধানখেত থেকে উদ্ধার শিয়ালের খুবলে খাওয়া রক্তাক্ত নবজাতক শিশুর দেহ। তুমুল হইচই ত্রিমোহিনীতে।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৯ নভেম্বর——– স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া ধানখেত থেকে শিয়ালের খুবলে খাওয়া নবজাতকের দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা। রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হিলি থানার ত্রিমোহিনী হাসপাতাল পাড়া এলাকার। এদিন সকালে ধানের জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুর দেহটি নজরে আসে স্থানীয়দের। যে ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মাধ্যমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিলি থানার পুলিশ। তবে কিভাবে ওই নবজাতকের দেহ সেখানে এল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। ঘটনার সাথে জড়িতদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, এদিন সকালে হিলির ত্রিমোহিনী স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন ধানের জমিতে একটি রক্তাক্ত নবজাতক শিশুর দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। যে শিশুর দেহটি রাতের অন্ধকারে কিছুটা খুবলে খেয়েছে শেয়াল। যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই এদিন সকাল থেকে তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, লোকলজ্জার ভয়ে কেউ অবৈধভাবে গর্ভপাত করিয়ে রাতের অন্ধকারে শিশুটিকে ধানের জমিতে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। যেখানেই রাতের অন্ধকারে শিশুটিকে খুবলে খায় শেয়ালের দল। তবে কি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আড়ালেই এসব কাজ চলছে ? এদিন এই ঘটনা সামনে আসতেই এমন সব প্রশ্ন উস্কে উঠেছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা সুজন ঘোষ বলেন, সাতসকালে এমন ঘটনা সকলকেই অবাক করেছে। শিয়াল খুবলে খেয়েছে নবজাতক শিশুর দেহ। লোকলজ্জার ভয়ে কেউ এই কান্ড করেছে। তবে ঘটনার পিছনে যারাই যুক্ত থাকুক তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।