তারাপীঠের আদলে সেজে উঠলো বোল্লা মন্দিরের প্রবেশদ্বার। ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৫ নভেম্বর ———– তারাপীঠের আদলে সেজে উঠল বোল্লা মন্দিরের প্রবেশদ্বার। শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সড়কের ধারে যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যেখানে সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু ও বোল্লা মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের বৃহৎ ও প্রাচীনতম পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে চিহ্নিত বালুরঘাটের বোল্লা কালী পুজো। প্রতিবছর এই পুজো ও তাকে ঘিরে তিনদিনের মেলায় ভিড় জমান জেলা, রাজ্য ও প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ। পুজোর দিন ছাড়াও সারাবছরই এই বোল্লা কালীর মাহাত্ম্যে ছুটে আসেন বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ। হিলি-গাজোল ৫১২ জাতীয় সড়ক থেকে কিছুটা ভেতরে এই মন্দিরের অবস্থান হওয়ায় পুর্নার্থীদের অনেককেই মন্দির খুজতে কিছুটা হোচট খেতে হয়। যে বিষয়টি উপলব্ধি করেই এব্যাপারে উদ্যোগী হন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যার সাংসদ তহবিলের প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নির্মিত হয় সুউচ্চ এই প্রবেশদ্বারটি। এদিন ফিতে কেটে যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একইসাথে আগামী ১ লা ডিসেম্বর দেবীর পুজোকে ঘিরে পুর্নার্থীদের যাতে কোন অসুবিধে না হয় সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এদিন মন্দির চত্বরও পরিদর্শন করেছেন সাংসদ।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, সাংসদ হবার পর তারাপীঠে গিয়ে একটি সুন্দর প্রবেশদ্বার দেখেছিলেন। যে ভাবনা নিয়ে পুজো কমিটির সাথে আলোচনা করে তার সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ অর্থে নির্মান করা হয়েছে এই প্রবেশদ্বারটি। যেখানে দেবীর একটি সুন্দর মুর্তিও বসানো হয়েছে। যা দেখে সকলেই যেন বুঝতে পারে সেটি বোল্লা মন্দিরের প্রবেশদ্বার।