৫১ টি ঘন্টায় সেজে উঠল উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বোল্লা মন্দির প্রাঙ্গন। পুজোকে ঘিরে হইচই পরিস্থিতি বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩০ নভেম্বর ——– ৫১ টি ঘন্টায় সেজে উঠলো উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বোল্লা মন্দির। শুক্রবার দেবীর পুজোর আগে মন্দির চত্বরে এমন ঘন্টার সমারোহে রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি এখন বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে। ভক্তদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা রুখতেই এমন উদ্যোগ, বললেন বোল্লা মন্দিরের পুরোহিত। রাত পোহালেই উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীনতম বোল্লা কালী পুজো। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই বোল্লা কালী পুজোকে ঘিরেই বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে বসে তিনদিনের বিরাট মেলাও। যেখানে শুধুমাত্র দক্ষিন দিনাজপুর জেলা বা প্রতিবেশী জেলা নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ, দক্ষিনবঙ্গ সহ গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। ছুটে আসেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষও। আর সেখানে যেন কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা না ঘটে তার জন্য ইতিমধ্যে ততপর হয়েছে প্রশাসনও। প্রায় ১২০০ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। পকেটমার রুখতে সাদা পোশাকের প্রচুর পুলিশের নজরদারি থাকছে এবারের মেলায়। কেও অসুস্থ হয়ে গেলে থাকবে মেডিকেল টিম,অ্যাম্বুলেন্স। থাকছে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থাও। শুধু তাই নয় প্রশাসনের তরফে জলের পাউচও বিনামূল্যে বিতরন করা হবে বোল্লা মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। এছাড়া বাড়তি নজরদারিতে লাগানো হয়েছে প্রচুর সিসিটিভিও। তবে এবারে বোল্লা পুজোয় ভক্তদের কাছে চমক হিসাবে থাকছে মন্দিরে ঢুকবার প্রবেশদ্বার ও ৫১ টি ঘন্টায় সেজে ওঠা মন্দির প্রাঙ্গন।
বোল্লা মন্দিরে মূখ্য পুরোহিত অরুপ চক্রবর্তী বলেন, ভোরে মঙ্গল আরতী মধ্যে দিয়ে মাকে জাগানো হবে। সকাল ৬ টার পর থেকে পূর্নার্থীদের ভোগ দেওয়া শুরু হবে, যা সারাদিন চলবে। রাত্রী ১০ টায় মায়ের ঘট ভরানো হয়। রাত্রী ১১ টা থেকে পুজো শুরু হবে। সারা রাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো। তার মাঝে চন্ডিপাঠ হয়। তবে গত বছর প্রবেশের ক্ষেত্রে জিগজাগ পদ্ধতি করা হয়েছিলো সে ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভক্তদের। যেদিকটিকে এবারে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তাছাড়া মন্দিরের একটি ঘন্টা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হত। লক্ষাধিক ভক্ত তা বাজাতে হুরমুরিয়ে পরত৷ এবারে রায়গঞ্জের এক ভক্ত একাধিক ঘন্টা দান করায় তা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্দির প্রাঙ্গন। যার ফলে এবারে আর ভক্ত দের কোন অসুবিধে হবে না।