সাত কুইন্ট্যাল দুধের ক্ষীর দিয়েই মহাভোগ এবারে বোল্লা পুজোতে

0
145

সাত কুইন্ট্যাল দুধের ক্ষীর দিয়েই মহাভোগ এবারে বোল্লা পুজোতে। জোর প্রস্তুতি বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১ ডিসেম্বর ———— সাত কুইন্ট্যাল দুধের ক্ষীর দিয়েই মহাভোগ এবারে বোল্লা কালী পুজোয়। শুক্রবার বিকেল থেকেই যার জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মন্দির চত্বরে। যদিও এই বিপুল পরিমান দুধের আয়োজন ভক্তদের হাত দিয়েই হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বোল্লা পুজো কমিটির সদস্যরা। প্রসঙ্গত, বছরের অনান্য সময়ে বোল্লা কালীর পুজোতে অন্নভোগ হলেও রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার অর্থাৎ দেবীর মুল পুজো শুধুমাত্র মিষ্টান্ন ভোগ দিয়েই সম্পন্ন হয়। বাতাসা থেকে শুরু করে যাবতীয় মিষ্টি ভোগই দেবীর প্রধান ভোগ হিসাবে চিহ্নিত এই বোল্লা পুজোয়। তবে দেবীর পুজোয় স্পেশাল ভোগ হিসাবে ক্ষীর কেই প্রধান্য দেওয়া হয় বোল্লা পুজোতে। যা প্রস্তুত করতেই এবারে সাত কুইন্ট্যাল দুধ মজুত করা হয়েছে। যা দিয়েই তৈরি হচ্ছে বোল্লা মায়ের মহাভোগ।

কথিত আছে বালুরঘাটের বোল্লা এলাকায় একসময়ের জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায়। যার নাম অনুসারে ভাষান্তরে জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা। জানা যায়, আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে এলাকার এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখন্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পূজা শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিতে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালির পূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স প্রায় তিনশরও বেশি বছর বলে প্রমান পাওয়া যায়। এবছরও মেলায় মনিহারির দোকান থেকে শুরু করে নাগরদোলা, সার্কাস, আলকাপ ও যাত্রা সহ বিনোদনমূলক অনেক কিছুই রয়েছে। মেলার নিরাপত্তা জোরদার করতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। যে বোল্লা কালীর পুজোতেই অন্যতম স্পেশাল ভোগ হিসাবে তৈরি করা হয় ক্ষীর। ভক্তদের দেওয়া দুধ জমিয়ে তা জ্বাল করেই ক্ষীর তৈরি করেন উদ্যোক্তারা। প্রায় সাত কুইন্ট্যাল দুধ শুকিয়েই এবারে তৈরি হচ্ছে দেবীর সেই মহাপ্রসাদ।

বোল্লা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত অরুপ চক্রবর্তী বলেন, অন্নভোগ হয়না দেবীর পুজোতে। মুলত মিষ্টি ভোগ দিয়েই পুজো সম্পন্ন হয় বোল্লা মায়ের। তবে মহাপ্রসাদ হিসাবে ক্ষীর রাখা হয় দেবীর ভোগে। যা প্রায় ছয় থেকে সাত কুইন্ট্যাল দুধেই তৈরি করা হয়ে থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here