আট মাস ধরে বন্ধ বেতন! প্রতিবাদে বালুরঘাটের জল ও সেচ দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ নিরাপত্তারক্ষীদের।

0
362

আট মাস ধরে বন্ধ বেতন! প্রতিবাদে বালুরঘাটের জল ও সেচ দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ নিরাপত্তারক্ষীদের।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২০ ডিসেম্বর:——- আট মাস ধরে বন্ধ বেতন! প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলো নিরাপত্তা রক্ষীরা। নির্বিকার জল ও সেচ দপ্তর। বুধবার দুপুরে দপ্তরের সামনে নিরাপত্তারক্ষীদের এমন বিক্ষোভের ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাটের জল ও সেচ দপ্তরে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো রকম কর্ণপাত করছে না। অবিলম্বে তাদের বেতনের সমস্যা না মিটলে আগামীতে বড়সড় আন্দোলনে নামবার হুশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, বেশ কয়েকবছর আগে জল ও সেচ দপ্তরের নিরাপত্তা রক্ষায় বেশকিছু কর্মী নিয়োগ করা হয়। সরকার অনুমোদিত একটি সিকিউরিটি এজেন্সির মাধ্যমেই যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল সেসময়। বিনা অনুমতিতে দপ্তরের ভেতরে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে, অথবা দপ্তরের যাবতীয় জিনিসপত্র যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই উদ্দেশ্যেই বালুরঘাটের জল ও সেচ দপ্তরে নিয়োগ হয়েছিল ১২ জন কর্মী। কিন্তু বেশ কয়েকমাস ধরে দপ্তরের সেই নিরাপত্তা রক্ষীরাই চরম আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বেতন না পেয়ে সংসার চালাতে কাল ঘাম ছুটছে সেই নিরাপত্তা রক্ষীদেরই। প্রায় আটমাস ধরে ওই দপ্তরের নিরাপত্তা রক্ষীদের এমন অনিশ্চিয়তা চললেও ভ্রুক্ষেপ নেই কারোরই। বালুরঘাটের পুলিশ লাইন এলাকায় অবস্থিত সরকারী ওই অফিসে প্রথম পর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ঠিকঠাক বেতন দেওয়া হলেও প্রায় ৮ মাস ধরে কোন বেতনই দেওয়া হচ্ছে না তাদের বলে অভিযোগ। যা নিয়ে বহুবার তারা সেচ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও অভিযোগ। কিন্তু বারবারই দেখব আর দেখছি করেই কাটিয়েছেন আধিকারিকেরা বলেও অভিযোগ। এজেন্সিও তাদের মাসের পর হতাশ করেছে বলে অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীদের। আর যারই প্রতিবাদে এদিন নিরাপত্তা রক্ষীরা একজোট হয়ে সেচ দপ্তরের দরজা আটকে আন্দোলনে নেমে পড়েন। বেতন আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হন সকলেই। শুধু তাই নয়, দ্রুত বেতন না দেওয়া হলে আগামীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও তারা পিছুপা হবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

নিরাপত্তা রক্ষী জনি রায় বলেন, ‘দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমরা ১২ জন নিরাপত্তা রক্ষী এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছি। কিন্তু গত আট মাস ধরে আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে রয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিন শ্রম দপ্তরের আধিকারিককে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। সেচ দপ্তরের তরফে শুধু দেখব, দেখছি করেই সময় পার করছেন। এজেন্সি কর্তা ব্যক্তিদের ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেন না। এই মুহূর্তে চরম বিপদের মধ্যে রয়েছি।’

বালুরঘাট সেচ দপ্তরের মহকুমা আধিকারিক রঞ্জন রায়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে বেতন বন্ধের বিষয়টি বলতে পারবেন না বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here