যাযাবর হিসেবে ঘোরাঘুরি করে গঙ্গারামপুর থানার ধোপাদীঘি এলাকায় একটি বাড়িতে চুরি করতে এসে হাতেনাথে ধরা পরল এক মহিলা, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এলো, সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই
গঙ্গারামপুর 22 ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।যাযাবর হিসেবে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে এলাকার গিয়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ানোর পরে এক বাড়িতে চুরির অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার ধোপাদিখী এলাকায়। চুরি হওয়া ওই গৃহবধূ বাড়িতে এসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে টোটো নিয়ে ধাওয়া করে ধরে পুলিশ সাথে তুলে দেয়।পুলিশ ওই মহিলার কাছ থেকে চুরি যাওয়া কিছু সোনার গহনা উদ্ধার করেছে। এব্যাপারে চুরি যাওয়া বাড়ির মালিকের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারা দিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে । পুলিশের এই তৎপরতার কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। গঙ্গারামপুর থানা সূত্র জানা গেছে, যাযাবর হিসেবে ঘুরে বেড়াতো ধৃত বৃহস্পতিবাসী নামে এক মহিলা। তার ঠিকানা গাজোল স্টেশনে বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকেল হতেই গঙ্গারামপুর থানার উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোপাদিখী এলাকার বাসিন্দা শাহাবাজ আলী ও তার শ্রী মাসুদা পারভীন কেউ বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাযাবর হিসেবে এলাকায় ঘুরে বৃহস্পতি বাসী নামে ওই মহিলা তার দুই সন্তানকে নিয়ে সেই বাড়ির ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অভিযুক্ত এই মহিলা তাদের আলমারি ভেঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়নাগাটি চুরি করে নিয়ে গিয়ে টোটোতে করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। চুরি যাওয়া ওই বাড়ির গৃহবধূ মাসুদা পারভীন বিষয়টি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি টোটো ভাড়া করে তাকে ধাওয়া করেন গঙ্গারামপুরের দিকে। গঙ্গারামপুর থানার টাউন অফিসে বিশ্বজিৎ বর্মন বিষয়টি জানার পরেই গঙ্গারামপুর হাইরোডে ছুটে গিয়ে অভিযুক্ত মহিলা সহ তার দুই সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। চুরি হওয়া গৃহবধূ মাসুদা পারভীনের অভিযোগ, যাযাবর হিসেবে এলাকায় ঘোরাঘুরির পরে সুযোগ বুঝে বাড়িতে কেউ না থাকলেই তারা চুরির কাজ করে যায়। ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে কিছু জিনিস উদ্ধার করে পুলিশ সাথে দেওয়া হয়েছে। চুরি যাওয়া গৃহবধুর এক আত্মীয় রবিউল আলম জানিয়েছেন, বিষয়টি শোনার পরেই থানায় ছুটে আসি।এরা এমন ধরনের কাজ করে যান সারা বছর ধরে। সকলকে সচেতন হবার কথা বলেন তার। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেবার জন্য । বাসুরিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্ডল জানিয়েছেন,পুলিশ প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে ধন্যবাদ জানাই তাদের। বাকি জিনিসপত্র উদ্ধার করবে সেই আশায় রয়েছে। গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, এমন ঘটনা কখনো মেনে নেওয়া যাবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের এমন কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।