জায়গা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই একই মন্দির নির্মাণে দুবার শুভ সূচনা! বিতর্কে বালুরঘাট মোটরকালী মন্দির কমিটি। হইচই শহরজুড়ে
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২২ ডিসেম্বর ——– জায়গা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই একই মন্দিরের দুবার কাজের সূচনা বালুরঘাটে। শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মোটর কালী মন্দির এলাকায়। যদিও এসব যুক্তি সঠিক নয় বলে দাবি মটরকালী মন্দির নির্মান কমিটির।
জানা যায়, বালুরঘাট শহরের প্রাচীন মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মটরকালী মন্দিরটি। দীর্ঘ বছর ধরে যা কার্যত ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছিল। অবশেষে সেই মন্দিরটি একটি ট্রাস্ট গড়ে নতুনভাবে সাজাবার উদ্যোগ নেয় বাস মালিক সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন ও স্থানীয় বেশ কিছু দোকানদাররা। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভাবে এই মন্দিরটি নির্মাণ করবার উদ্যোগ নিয়ে গত ১ লা ডিসেম্বর যার শুভ সূচনা করা হয়। যেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে জেল সুপার, পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ প্রশাসনের বেশকিছু লোকজনকে। এরপরেই ওই মন্দিরের জায়গা ও নির্মান প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। যাকে ঘিরে তৈরি হয় জোর বিতর্কও। এরই মাঝে এদিন ফের একবার কাজের শুভ সূচনা হওয়ায় তুমুল বিতর্কে জড়ায় মন্দির কমিটি। আর তাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মোটর কালি মন্দির চত্বর এলাকায়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে করা হয় জায়গার মাপ জোক প্রক্রিয়াও। তবে এদিনের এই শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ছাড়া তেমন কারো উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি।
অর্পিতা ঘোষ বলেন, মন্দিরের শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে হাজির হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে তার। পুরনো এই মটরকালী মন্দিরটি নির্মাণ হলে শহরবাসীর কাছে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগাবে। জায়গা নিয়ে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে সেটি দেখবার জন্য প্রশাসন রয়েছে।
মন্দির উন্নয়ন কমিটির পক্ষে মানস চৌধুরী বলেন, এর আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। আজ কাজের শুভ সূচনা হয়েছে। মন্দিরের জায়গার পর্যাপ্ত কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে।