বালুরঘাটে বিকল বৈদ্যুতিক চুল্লি! বিকল্প ব্যবস্থা পুরসভার। স্বস্তিতে বাসিন্দারা।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৯ জানুয়ারী —— পাঁচ মাস ধরে বালুরঘাটে বিকল বৈদ্যুতিক চুল্লি। সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে শহরবাসীকে স্বস্তি বালুরঘাট পুরসভার। আলোড়ন শহরজুড়ে। জানা গেছে, বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর এলাকায় অবস্থিত মহাশ্মশানটিতে ২০১৭ সালে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপন করা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রায় দুকোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দে তৈরি হয়েছিল সেই চুল্লিটি। যা বিগত পাঁচ মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ায় চরম সমস্যায় পড়েছে বালুরঘাট শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খিদিরপুর শ্মশানে দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। যার একটি দীর্ঘদিন ধরেই বিকল হয়ে ছিল। ফলে অপর চুল্লিটি দিয়েই মৃতদেহ সৎকারের কাজ চালাচ্ছিল বালুরঘাট পুরসভা। যেটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় গোটা শ্মশানেরই সৎকার ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। এমত অবস্থায় শহরবাসীর সমস্যা উপলব্ধি করে তড়িঘড়ি বিকল্প ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয় বালুরঘাট পুরসভা। চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের দাবি দ্রুততার সাথে ইলেকট্রিক চুল্লি মেরামতির পাশাপাশি বাসিন্দাদের সুবিধার্থে মৃতদেহ সৎকারের জন্য পুরসভার তরফে বিনামূল্যে খড়ি ও পাটকাঠির ব্যবস্থা করা হয়েছে খিদিরপুর মহাশ্মশানটিতে।
কমল দাস নামে শহরের এক বাসিন্দা বলেন, পুরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা এই ইলেকট্রিক চুল্লি। যা শুধুমাত্র সময় নয়, খরচও অনেকটাই কমিয়ে দেয়। তাই শহরবাসীর সুবিধার্থে এই পরিষেবা আরও উন্নততর করা প্রয়োজন।
শ্মশানের পুরকর্মী রমেন হেমব্রম বলেন, কয়েকমাস আগে খারাপ হয়ে গেছে এই ইলেকট্রিক চুল্লিটি। মেরামতি না হবার কারণে শ্মশানে দেহ সতকার করতে আসা প্রত্যেককেই পুরসভার তরফে বিনামূল্যে খড়ি ও পাটকাঠি বিলি করা হচ্ছে।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, যন্ত্রের জিনিস বিকল হতেই পারে। তার জন্যই পুরসভা নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় তিনমাস ধরে বিনামূল্যে খড়ি ও পাটকাঠির ব্যবস্থা করছে সেই শ্মশানে। একইসাথে দ্রুততার সাথে টেন্ডার করে ওই ইলেকট্রিক চুল্লিটি মেরামতি করবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।