কুমারগঞ্জে সরকারী অফিসের জানালা ভেঙে দু:সাহসিক চুরি! লণ্ডভণ্ড অফিস, খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকা।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৮ জানুয়ারী ———থানা থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে সরকারী অফিসে দু:সাহসিক চুরির ঘটনায় উত্তেজনা দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় কুমারগঞ্জের সাব-রেজেস্ট্রি অফিসে। ভল্ট ভেঙে নগদ ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা চুরির পাশাপাশি সিসিটিভিও চুরি করে নিয়ে যায় দুস্কৃতিরা বলে দাবি সাব রেজিস্ট্রারের। এদিন সকালে যে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় কুমারগঞ্জ থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান অফিসের পেছনের জানালা ভেঙ্গে রাতের অন্ধকারে ঘরের ভেতরে ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে দুস্কৃতিরা। যা নিয়েই জোর তদন্ত শুরু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সরকারি ওই অফিসে কিভাবে রাতের অন্ধকারে দুস্কৃতিরা তান্ডব চালালো তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। আর যাকে ঘিরেই রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকার সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যেও। জানা গেছে, কুমারগঞ্জের ওই সাব-রেজেস্ট্রি অফিসটিতে এলাকার যাবতীয় রেজেস্ট্রি সংক্রান্ত কাজ পরিচালিত হয়। যেখানে প্রায় প্রতিদিনই সরকারীভাবে লক্ষাধিক টাকার শুল্ক আদায় হয়। যা অফিসের নির্দিষ্ট ভল্টেই রাখা হয়। এদিন সকালে কর্মীরা অফিসে এসে ঘরে ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে। তাদের অভিযোগ ঘরের জানালা ভেঙে রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিসে ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে দুস্কৃতিরা। নগদ টাকার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরাও খুলে নিয়ে গেছে দুস্কৃতিরা বলেও অভিযোগ। যে খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ছুটে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নামে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খোদ সরকারী অফিসই যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় ? এদিনের এই ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উস্কে উঠেছে এমনই সব প্রশ্ন।
যদিও সাব রেজিস্ট্রার মনোজ রায়ের দাবি, গভীর রাতেই এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। নগদ এক লক্ষ সতেরো হাজার টাকা খোয়া গেছে অফিস থেকে। একইসাথে সিসি ক্যামেরার তারকাটা হয়েছে। তবে কাগজপত্র হারিয়ে যাবার বিষয়টি খতিয়ে দেখবার পরেই বলা সম্ভব।