আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মনতোষ রাজবংশী

0
202

মালদহ: খরচ মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। মুনাফা এক লক্ষ টাকার বেশি। এমনকি শুধু মাত্র সিজিনে নয়, অফ সিজিনেও উৎপাদন হচ্ছে। আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন মনতোষ রাজবংশী। গতানুগতিক চাষের পদ্ধতি পরিবর্তে চলতি মরশুমে এক বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছিলেন তিনি। জুলাই মাসে শুরু করেছিলেন চাষ।‌ তবে গতানুগতিক পদ্ধতিতে চাষ করলে মাত্র তিন মাস পর্যন্ত করলা গাছে ফলন হয়। মালদহের কৃষকেরা সাধারণত এই তিন মাসই করলার ফলন পেয়ে থাকেন। তারপর গাছ মারা যায়। কিন্তু পুরাতন মালদহের কৃষক মনোতোষ রাজবংশী এই বছর মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করেছিলেন। প্রায় সাত মাস গাছের বয়স হয়ে গেলেও এখনো নিয়মিত ফলন হচ্ছে। এই ঘন কুয়াশা শীতের মরশুমেও‌ গাছে ফল হচ্ছে। এমনকি নতুন করে আবারও গাছ সতেজ হয়ে উঠছে। আগামী আরো তিন থেকে চার মাস এই গাছে ফলন দিবে বলে মনে করছেন তিনি।
এক বিঘা জমিতে করলা চাষে সবমিলিয়ে তাঁর খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত তিনি এক লক্ষ দশ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। মালচিং পদ্ধতিতে চাষের জন্য অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছিল।
কি এই মালচিং পদ্ধতি এর উপকারী বা কি? মূলত সবজি চাষে এই মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে এখন। আধুনিক এই চাষের পদ্ধতিতে গাছের গোড়া ভালো থাকে। কারণ বিশেষ এক ধরনের পলিথিন দিয়ে গাছের গোড়া ঢাকা দেওয়া হয়। প্রথমে জমির উপর ফালি তৈরি করা হয়। জৈব সার ভাল করে মিশিয়ে গাছের চারা লাগানো হয়। পলিথিনে ছোট ছোট ছিদ্র করা হয় চারা রোপন করার জন্য। বাকি অংশ মাটির ঢাকা থাকে। এই বিশেষ পলিথিনে নিচের দিকটা কালো ওপরের অংশ সাদা চকচকে। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে জমিতে একেবারে আগাছা জন্মায় না। এতে করে মাটির জৈব পুষ্টি গাছের মধ্যে চলে যায়। আরও একটি বিশেষ উপকার হল পোকামাকড়ের আক্রমণ একেবারেই গাছে হয় না। গাছের রোগ কম হয়। কারণ চকচকে পলিথিন থাকায় সমস্ত পোকা সেখানে গিয়েই বসে গাছের ওপর বসে না। বিভিন্ন চাষের ক্ষেত্রে এই মালচিং পদ্ধতি এখন ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে। গতানুগতিক চাষের পদ্ধতির ছেড়ে কৃষকরা যদি এই পদ্ধতিতে চাষ করেন তাহলে লাভের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here