মুহুর্তে ১৩৫ টি দেশ ও তার রাজধানীর নাম বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল পাঞ্জুলের ছোট্ট ইমন

0
494

পঞ্চম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়ার কীর্তি তাক লাগালো হিলির বাসিন্দাদের। মুহুর্তে ১৩৫ টি দেশ ও তার রাজধানীর নাম বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল পাঞ্জুলের ছোট্ট ইমন

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১০ ফেব্রুয়ারী ——– পঞ্চম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়ার কীর্তি তাক লাগালো সীমান্তের বাসিন্দাদের। দ্রুততার সাথে ১৩৫ টি দেশ ও তার রাজধানীর নাম ঠোটস্থ করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ নাম তুলল হিলির খুদে পড়ুয়া। যাকে ঘিরে এখন হইচই পরিস্থিতি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি ব্লকের পাঞ্জুল চুকুরপাড় গ্রামে। শনিবার কুরিয়ারের মাধ্যমে সেই স্বীকৃতি গ্রামে পৌঁছাতেই খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে ওই খুদে শিশু ও তার পরিবারের লোকেরা।

জানা গেছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলির পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের চুকুরপাড় গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ইমরান মন্ডলের দশ বছর বয়সী ওই ছেলের নাম ইমন মন্ডল। এদিন সকালে কুরিয়ারের মাধ্যমে যার কাছেই এসে পৌঁছায় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের চুড়ান্ত স্বীকৃতি। যাকে ঘিরেই রীতিমতো উৎসবের মেজাজ তৈরি হয় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই গ্রামে। ইমনের পরিবারের লোকেদের দাবি, ছোট থেকেই খেলাধুলায় তেমন কোন মনোযোগ নেই ইমনের। পড়াশুনা নিয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করে যে। তবে কোন জিনিস চোখে দেখলে বা কানে শুনলে কোনভাবেই ভোলে না সে। উলটে নিজে থেকেই সে সমস্ত বিষয় ঠোটস্থ হয়ে যায় খুদে ওই শিশুর। যা দেখে শুধুমাত্র তারাই নন, অবাক হয়ে যান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরাও। যার মুখ থেকেই ঝড়ঝড়িয়ে বের হয়ে আসছে ১৩৫ টি দেশ ও তার রাজধানীর নাম, শুধু তাই নয় পৃথিবীর ১০ টি স্ট্যাচুর বিবরণ, দুটি ইসলাম ধর্মের বড় সূরা যেন ঠোটস্থ ওই পঞ্চম শ্রেণির স্কুল ছাত্রের। যে ইতিমধ্যে দুটি কবিতাও লিখে ফেলেছে। সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা ছোট্ট ওই স্কুল ছাত্রের এমন প্রতিভা বাকরুদ্ধ করেছে অনেককেই। যে বিষয়টি নিয়েই ছোট্ট ইমনের বাবা ইমরান মন্ডল ও মা বিজিয়া সুলতানা মুন্সি অনলাইনে যোগাযোগ করেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। যেখানে গত ডিসেম্বরে ইমনের নাম নথিভুক্ত করে তার প্রতিভাও তুলে ধরেন তারা। এরপরেই প্রথমে কংগ্রাচুলেশনস ম্যাসেজ এবং তারপরে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে শংসাপত্র, মেডেল সহ যাবতীয় জিনিস পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইমনকে। এদিন যা হাতে পেতেই খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন ছোট্ট ইমন ও তার পরিবারের লোকেরা। খুদে শিশুর এমন প্রতিভায় উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারাও।

যদিও ইমনের দাবি, বই পড়ে মোবাইল দেখেই এসব শিখেছেন। খেলাধুলা তেমন তার ভালো লাগে না। আগামীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় তার লক্ষ্য।

ইমনের বাবা ইমরান মন্ডল বলেন, ছোট থেকে ছেলের বেশকিছু বিষয় তাদের অবাক করেছে। যার জোরেই এই স্বীকৃতি অর্জন করেছে সে। আগামীতে তার স্বপ্ন পুরন করাই তার মূল লক্ষ্য।

ইমনের মা বিজিয়া সুলতানা মুন্সি বলেন, ছেলের এমন প্রতিভা দেখেই তারা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে যোগাযোগ করেছিলেন। এদিন যেখান থেকে পুরস্কার আসতেই আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here