২৭ শে মাঘ উপলক্ষে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান ও মহা মিলন দিবস হিসাবে উদযাপন করা হলো বুনিয়াদপুরে।
২৭শে মাঘ দিনটা রাজবংশী জাতির কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে রাজবংশী জাতির জনক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার নেতৃত্ব’ত পূণ্য করতোয়া নদীর তীরে হাজার হাজার রাজবংশী মানুষ পৈতা ধারনের মাধ্যমে ক্ষত্রিয় গ্রহন করে। পঞ্চানন বর্মা ছিলেন কোচবিহারের একজন রাজবংশী নেতা, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, এবং সমাজ সংস্কারক। ঠাকুর পঞ্চানন, পঞ্চানন সরকার ও রায় সাহেব নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তিনি নিজের সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে ব্রাহ্মণ্য মূল্যবোধ ও রীতিনীতি পুনরায় জাগিয়ে তোলার জন্য একটি ক্ষত্রিয় সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রবিবার বুনিয়াদপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়াইল বুরিতলা মন্দির প্রাঙ্গণে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সহ সভাধিপতি তথা জেলার যুব সভাপতি আম্বরেশ সরকার। পাশাপাশি এই দিনে রাজবংশী জনজাতির মানুষ জন একত্রিত হয়ে রাজবংশী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কালচার নিয়ে করা হলো আলোচনা। এই দিনের এই অনুষ্ঠানে বহু রাজবংশী মানুষ ছিঁড়ে আসেন। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সহ সভাধিপতি তথা জেলার যুব সভাপতি আম্বরেশ সরকার, বুনিয়াদপুর টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি স্বাধীন সরকার সহ আরো অনেকে।
এই বিষয়ে বুনিয়াদপুর টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি স্বাধীন সরকার জানিয়েছেন আজকে ২৭ এ মাঘ রাজবংশী জনজাতির মহা মিলনের দিন। এই দিনটিকে স্মরণ করতে রাজবংশী মানুষদের নিয়ে করা হলো আলোচনা সভা। পাশাপাশি আজকের এই দিনে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করা হলো ও আলোচনা করা হলো রাজবংশী সংস্কৃতি ও কালচার।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রবি সরকার জানিয়েছেন আজকের এই দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে রাজবংশী জনজাতির মহা মিলনের দিন। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করতে একটি আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। আলোচনা করা হয় রাজবংশী জাতির সংস্কৃতি ও কালচার।