হিলিতে রেলের জমিদাতাদের কাছ থেকেও তোলাবাজি! ভাইরাল অডিও বার্তা

0
136

হিলিতে রেলের জমিদাতাদের কাছ থেকেও তোলাবাজি! ভাইরাল অডিও বার্তা। ডিএম অফিসের নাম করে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ।

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৩ ফেব্রুয়ারী ——- হিলিতে সরকারী দপ্তরের নাম করে রেলের জমিদাতাদের কাছ থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগ। ভাইরাল অডিও বার্তা। প্রশাসনের দ্বারস্থ অসহায় কৃষকেরা। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকে। খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে চলছে এই তোলাবাজি চক্র ? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অসহায় কৃষকেরা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হিলির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।

বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে রেল দপ্তর। যে প্রকল্পের জন্য বেশ কয়েক দফায় ইতিমধ্যে ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। সে হিসেবেই বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তার জমি অধিগ্রহণ পর্ব দ্রততার সাথে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জমিদাতাদের সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হতেই সরাসরি তোলাবাজি করার অভিযোগ সামনে এসেছে খোদ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে। যার ভাইরাল হওয়া অডিও বার্তা সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত অধ্যুষিত হিলি ব্লকে। জানা গেছে, ওই ব্লকের মহিষনোটার বাসিন্দা তথা পেশায় কৃষক নেপাল সরকারের কাছ থেকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের নাম করে এমন টাকা চাওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে।জমিদাতা নেপাল সরকারের অভিযোগ, দুটি মৌজা থেকে বেশ কিছু জমি রেলদপ্তরকে দিয়েছেন তিনি। যার ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে বেশকিছু জটিলতা তৈরি হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই ডিএম অফিসে ঘোরাঘুরি করছেন। আর সেই সুযোগ নিয়েই সামসুর মন্ডল নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ডিএম অফিসের সরকারি কর্মীর পরিচয় দিয়ে ফোন করে টাকা চাইছেন। সঠিক সময়ের আগেই ব্যাঙ্ক একাউন্টে ক্ষতিপূরনের টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছেন, এমনটা দাবি করে ৫৫ হাজার টাকা দাবি করছেন সামসুর মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি। টাকা চাওয়ার যে অডিও বার্তা ভাইরাল হতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। সরকারী দপ্তরের নাম করে খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে কিভাবে সামসুর মন্ডল নামে ওই ব্যক্তি তোলাবাজি চালাচ্ছে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ? শুধু তাই নয়, জমিদাতা কৃষকদের কাছ থেকে এমন তোলাবাজি করার অডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসবার পরেও কেন নিশ্চুপ প্রশাসন ? তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন

নেপাল সরকার নামে এক জমিদাতা বলেন, বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের জন্য বেশ কিছু জমি রেলকে দিয়েছেন। তার ক্ষতিপুরণ দ্রুত একাউন্টে পাঠানো হয়েছে বলে টাকা দাবি করছেন ডিএম অফিসের এক কর্মী। শুধু তিনিই নন এভাবেই জমিদাতাদের কাছ থেকে টাকা দাবি করছেন সামসুর মন্ডল নামে এক কর্মী। সরকারি অফিসে বসে কেন এভাবে টাকা তোলা হবে তারই বিচার চাইছেন তিনি।

হিলি ব্লকের বিডিও চিরঞ্জিত সরকার জানিয়েছেন, এমন বিষয় তার জানা ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here