তৃণমূলের ঘোষিত নতুন কমিটিকে পৈতৃক সম্পত্তি বলে কটাক্ষ চেয়ারম্যানের

0
366

তৃণমূলের ঘোষিত নতুন কমিটিকে পৈতৃক সম্পত্তি বলে কটাক্ষ চেয়ারম্যানের। বিতর্ক দক্ষিন দিনাজপুরে।

জেলা তৃণমূলের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে কটাক্ষ খোদ জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের, অভিযোগ রাজ্যকে অন্ধকারে রাখবারও। হইচই -জেলাজুড়ে

গঙ্গারামপুর ১৫ই ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর। তৃণমূলের জেলা সভাপতির ঘোষিত জেলা কমিটির অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর নিউমার্কেটের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে জেলা সভাপতি জেলা তৃণমূলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান জানালেন, দলটাকে তিনি পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করেছেন তাই এমনটা করেছেন। তালিকায় প্রায় ৩২জনের নাম থাকলেও দলের মন্ত্রী ,বিধায়ক জেলা পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সদস্য ও পৌরসভার চেয়ারম্যানদের কমিটিতে রাখা হয়েছে।পুরনোদের বাদ দিয়ে নতুন করে বেশিরভাগ সদস্যদের সেই তালিকায় আনা হয়েছে যাদের মধ্যে অনেকেই দলের কাছ থেকে বাইরে ছিলেন। প্রকাশিত তালিকায় জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের সই ও রাজ্য কমিটি অনুমোদের কাগজ জেলা তৃণমূল সভাপতি দেখাতে পারেননি।সহ-সভাপতি হিসেবে নাম উঠেছে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের নাম। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গারামপুরের জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে জেলা তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত তালিকা প্রকাশ করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল ।তালিকায় ৩২জনের নাম প্রকাশ করা হয় জেলাজুড়ে।সেখানে সুভাষ ভাওয়াল সভাপতি, তোরাব হোসেন মন্ডল চেয়ারম্যান, প্রশান্ত মিত্র সহ-সভাপতি সহ নতুন করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তুলে আনা হয়েছে একাধিক জেলা কমিটির সদস্যদের নাম। তালিকায় থেকে বাদ পড়েছে বহুদিনের জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অমলেন্দু ভূষণ সরকারের নাম।এমনকি নির্বাচিত যারা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন জেলা কমিটির তালিকা থেকে যেমন সকলকে বাদ দেওয়া হয়েছে ,পাশাপাশি বেশ কিছু এই কমিটির নামের তালিকায় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জেলা সভাপতি দাবি করেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি যে তালিকা প্রকাশ করেছেন সেখানে গঙ্গারামপুর ব্লক ও পৌরসভা মিলে ৬জনের নাম, বালুরঘাটে পাঁচজন, হিলির একজন, কুমারগঞ্জে চারজন, তপনে পাঁচজন, বুনিয়াদপুরে তিনজন, কুশমন্ডি একজন, হরিরামপুরে দুইজন ব্লক ও পৌরসভার নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল জানান, যারা পদাধিকারী ক্ষমতায় রয়েছে তাদেরকে জেলা কমিটিতে নিয়ে আসা হয়নি।এছাড়াও মন্ত্রী, তৃণমূলের বিধায়ক সমস্ত শাখা সংগঠনের সভাপতি ,পৌরসভার চেয়ারম্যানদের সে তালিকায় রাখা হয়েছে।জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রকে। জেলা তৃণমূলের সভাপতির ঘোষিত নামের তালিকায় নাম নেই জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনারের। উল্লেখযোগ্যভাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি যে নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন তাতে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সই থাকলেও সই নেই জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের।রাজ্য কমিটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের যে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন কিনা তার কাগজ ও জেলা তৃণমূল সভাপতি দেখাতে পারেননি বলার পরেও। এবিষয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাব হোসেন মন্ডলকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এই কমিটির বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।জেলা তৃণমূল সভাপতি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে এসব করে বেড়াচ্ছেন বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে এই কমিটির কি অস্তিত্ব রয়েছে তা নিয়েই তৃণমূলের একাধিক নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সঙ্গে শোরগোল বলেছে পুরো জেলাজুড়ে। সামনের ভোটে তৃণমূলের এই কমিটি নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা ছাড়া দিবে সে বিষয়েও বলার অপেক্ষা রাখে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here